আ.লীগে মনোনয়ন পাননি আলোচিত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ
আলোচিত সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান আওয়ামী লীগ থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে চেয়েছিলেন। কিনেছিলেন দলীয় মনোনয়নপত্র। তবে, সে আশা পূরণ হচ্ছে না তার। দলের কেন্দ্রী কার্যালয় থেকে আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব ৩০০ জনের নাম ঘোষণা করলে সেখানে শোনা যায়নি তার নাম।
জামালপুর-৪ আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এই আলোচিত মুরাদ হাসান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর তাকে প্রথমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েক মাস পরই তাকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। একপর্যায়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়ে রোষানলে পড়েন তিনি, হারান জেলা আওয়ামী লীগের পদ। পরে বেরিয়ে আসে তার নামে নানা অভিযোগ। সেই সব অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচনি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সর্বশেষ তার কিছু অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। যদিও ২৩ জানুয়ারি দলীয় পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানকে জানান, দলের পদ থেকে বহিস্কার থেকে সরে এসে তাকে ‘সাধারণ ক্ষমা’ কার হয়েছে। এদিন দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এরপর গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল তফসিল ঘোষণা করলে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সে সময় জানা যায়, তিনি নৌকায় লড়তে চান এবং মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর এবং মনোনয়নপত্র বাছাই ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি করা হবে ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসার প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। এ ছাড়া নির্বাচনি প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।