আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে ফের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান। টানা চতুর্থবারের মতো নৌকার মনোনয়ন পেলেন তিনি। গতকাল রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে এম. এ. মান্নানের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন এম. এ মান্নান। এরপর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে জয়লাভের পর অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করায় ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হ্যাট্রিক জয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান এম. এ মান্নান। পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে সুনামগঞ্জে অবকাঠামোগত অসংখ্য উন্নয়ন কাজ সম্পাদন করেন তিনি।
এর আগে গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সে হিসেবে আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে। এ নির্বাচন উপলক্ষে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার পর ১৮ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন বিক্রি করে দলটি। এবার মোট তিন হাজার ৩৬২ মনোনয়নপত্র বিক্রি করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে ১২১টি অনলাইনে ও তিন হাজার ২৪১টি মনোনয়নপত্র সরাসরি বিক্রি হয়।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। এরপর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর এই মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি করা হবে ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর। অন্যদিকে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচারণা চালানো যাবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের দুই দিন পূর্ব, অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১ কেটি ৯৭ লাখ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার। মোট দুই লাখ ৬২ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ চলবে।