সাভারে মনোনয়ণপত্র জমা দিলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন (সাভার-আশুলিয়া) থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ণপত্র জমা দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সাভার উপজেলা পরিষদে নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মাজহারুল ইসলামের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন ডা. এনামুর রহমান।
এ সময় সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার পৌরসভার মেয়র আলহাজ আব্দুল গণি, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিনসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে টানা তিন দিন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ২৯৮ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করে। বাদ থাকে কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫। রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে সবকটি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন দলের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর বিকেল ৪টার পর মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন দলীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদের।
এর আগে ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সে হিসেবে আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে। এ নির্বাচন উপলক্ষে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার পর ১৮ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন বিক্রি করে দলটি। এবার মোট তিন হাজার ৩৬২ মনোনয়নপত্র বিক্রি করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে ১২১টি অনলাইনে ও তিন হাজার ২৪১টি মনোনয়নপত্র সরাসরি বিক্রি হয়।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। এরপর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর এই মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি করা হবে ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর।
অন্যদিকে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচারণা চালানো যাবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের দুই দিন পূর্ব, অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১ কেটি ৯৭ লাখ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার। মোট দুই লাখ ৬২ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ চলবে।