বিএনএফের প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলেও আ.লীগের প্রার্থীর বৈধ!
ঝিনাইদহ-২ আসনে সরকারদলীয় প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির এবং ঝিনাইদহ-১ আসনের (শৈলকুপা) বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রার্থী মো. আবু বকরের হলফনামা অসম্পূর্ণ। হলফনামায় স্থাবর, অস্থাবর কোনো সম্পদের বিবরণ দেননি তাঁদের দুজনের কেউ।
কিন্তু বিএনএফের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলেও আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
গত ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৭টার দিকে হলফনামা ঘেঁটে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জেলাজুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
প্রতিবেদকের হাতে আসা হলফনামা সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে অসম্পূর্ণ হলফনামা দেওয়ায় বিএনএফের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম। তিনি (প্রার্থী) মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত হলফনামার ৬ নং কলামে (ক) অস্থাবর সম্পাদ এবং (খ) স্থাবর সম্পদের ঘরগুলো ফাঁকা রেখেছেন। ওই ফরমের নিচের দিকে তিনি লিখেছেন ‘আয়কর রিটার্নে উল্লেখিত ও সংযুক্ত’।
অপরদিকে ঝিনাইদহ-২ (সদর-হরিণাকুণ্ডু) আসনে আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমিও হলনামায় কোনো তথ্য দেননি।
নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানা গেছে তাহজীব আলম সিদ্দিকীর হলফনামায়ও (ক) অস্থাবর সম্পদ এবং (খ) স্থাবর সম্পদের ঘরগুলো ফাঁকা রয়েছে। ফরমের ভিতরের অংশে তিনিও ‘আয়কর রিটার্নে উল্লেখিত এবং সংযুক্ত’ বাক্যটি লিখেছেন। দুই প্রার্থীর অপরাধ একই। অজ্ঞাত কারণে সরকারদলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়নি।
এ বিষয়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, আয়কর রিটার্ন অসম্পূর্ণ থাকায় ঝিনাইদহ-১ আসনের বিএনএফ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
তবে ঝিনাইদহ-২ আসনের প্রার্থীর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
আজ দুপুরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম একটি অনুষ্ঠানে আছেন বলে জানান। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কোনো কথা বলেননি তিনি।