আপিলে ‘বৈধতা’ হারালেন পাঁচ প্রার্থী
বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের যেকোনো সময়ের তুলনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা কতৃক বৈধ হওয়া প্রর্থীর বিরুদ্ধে এবার বেশি আবেদন পড়েছিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার বৈধতা দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৩৫ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলে আবেদন হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই বৈধতা হারালেন পাঁচজন। আপিল শুনানিতে তাদের মনোনয়ন বাতিল করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
ইসির তথ্যমতে, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক শূন্য আট শতাংশ।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৩৫টিই ছিল বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
আপিল শুনানি শেষে বৈধ পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। দুটি আবেদন খারিজ করা হয়েছে। নামঞ্জুর করা হয়েছে ২৮টি আবেদন। তবে, প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারবেন প্রার্থীরা।
আবেদনের প্রেক্ষিতে যেসব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে—বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাদিক আব্দুল্লাহ, ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক, যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক (বাবুল)।
এ বিষয়ে ইসি সচিব জাহাংগীর বলেন, ‘এ বছর রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩৫টি আপিল হয়েছিল। আর বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল ৫২৫টি। মোট ৫৬০টি আপিল দায়ের হয়েছিল। মনোনয়নপত্র বাতিল আদেশের মধ্যে ২৮০টি আপিল আবেদন নির্বাচন কমিশন মঞ্জুর করেছে। আর রিটার্নিং অফিসারের বৈধ আদেশের বিরুদ্ধে যে ৩৫টি আপিল দায়ের হয়েছিল, তার মধ্যে পাঁচটি আপিল আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। দুটি খারিজ ও ২৮টি আপিল আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।’