রামপুরা ও শাহজাহানপুরে রিজভীর নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে তামাশার নির্বাচন হিসেবে বর্ণনা করে তা বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনকে সফল করার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি করতে আজ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা ও শাহজাহানপুর কাঁচাবাজার এবং আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ আহবান জানান।
আজ সকাল আটটার দিকে প্রথমে রামপুরা কাঁচাবাজার ও পরে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের উদ্যোগে শাহজাহানপুর কাঁচাবাজারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হয়। এ সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণ গায়ের জোরে রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহারের মাধ্যমে বিরোধী দল ছাড়াই একতরফা তামাশা ও প্রতারণার নির্বাচনের আয়োজন করেছে। ইতোমধ্যে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, ডামি প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজেরাই সহিংসতা ঘটাচ্ছে। আজকে এই গণবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ ফের পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের জনমতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। যা একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাস্কর বিষয়। কিন্তু দেশের মানুষ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব জেনে গেছে শেখ হাসিনা প্রহসনের নির্বাচন করছেন। যেটা ইতিমধ্যেই ডামি নির্বাচন হিসেবে উপাধি পেয়েছে।’
রিজভী জনগণ ও দেশপ্রেমিক ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। অন্যকেও যেতে না বলুন। আপনারা এই নির্বাচন বর্জন করুন। অহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নীলুফার ইয়াসমীন নীলু, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সম্পাদক ফাতেমা তুজ জোহরা মিতু, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক মিয়া, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দীন ইমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, ডা. প্রিন্স, আশরাফুল আসাদ, বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সম্পাদক হৃদয়সহ নেতৃবৃন্দ। শ্রমিক দলের নেতাদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন খান, সিদ্দিকুর রহমান মিন্টু, জিল্লুর রহমান খান, সুলতান মুন্সি, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রহিম, জসিম উদ্দিন, লাভলু ডালি, নুরু, আমির, আবদুল কুদ্দুস, কাজল, কাকন, শহাজাহান মিয়া, জসিম, হারুন, আকাশ, খলিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।