নির্বাচনি সংহিংসতায় কঠোর সিদ্ধান্তের পথে ইসি, করা হতে পারে প্রার্থিতা বাতিল
নির্বাচনি প্রচার শুরু হতে না হতেই শুরু হয়েছে সহিংসতা। দিনদিন বাড়ছে এই প্রবণতা। জেলায় জেলায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো অভিযোগ উঠছে। পাল্টাপাল্টি দোষারোপও করছেন তারা। এমন এক মুহূর্তে কঠোর সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমনটিই জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেছেন, নির্বাচনি সহিংসতা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ইসি। এমনকি, কারও কারও প্রার্থিতাও বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আনিছুর রহমান।
এর আগে নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা কেন মাঠে দাঁড়াতে পারছেন না, ইসি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের কেন আচরণবিধি মানাতে পারছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা পারছি না, এতে একমত হতে পারছি না। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা ঘুরে এসেছি, সেখানে আমরা কঠোর নির্দেশনা দিয়ে এসেছি, তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। আজকেও আমরা কিছু কঠোর পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করেছি। আরও কিছু তথ্য চেয়েছি। আগামীকাল পেলে দেখবেন, কিছু কঠোর সিদ্ধান্তে চলে যাব।
আনিছুর রহমান বলেন, কোনো না কোনো জায়গায়, কারও না কারও প্রার্থিতা বাতিল হবে, এটুকু আভাস তিনি দিয়ে রাখছি। এক স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থকের মৃত্যুর বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, তারা সকালে এই ঘটনাটি শুনেছেন। যে কারও মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত। বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কিছুদিন আগেও তাদের মধ্যে একটা ঘটনা ঘটেছিল, সে কারণেই হয়েছে, নাকি নির্বাচনের কারণে হয়েছে—এই বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। নির্বাচনের কারণে অনেকে ব্যক্তিগত শত্রুতার বিষয়টিও সামনে আনছে। আমরা নিরপেক্ষতার সঙ্গেই দেখব।’
ইসি আনিছুর রহমান বলেন, ইসি কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে। কোনো রকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ইসি নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে। কোনো শঙ্কা, ভয়ভীতি বা আনুকূল্য নেই। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তার সবই তারা করে যাবেন।