সংবাদকর্মীদের কাজে বাধা দিলে ব্যবস্থা : ইসি রাশেদা
সংবাদকর্মীকে যদি বাধা বা হুমকি-ধমকি দেওয়া হলে দায়ী ব্যক্তিকে আইন অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা। আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে ইসি রাশেদা বলেন, ‘কোনো সংবাদকর্মীকে যদি বাধা দেওয়া হয় বা হুমকি-ধমকি দেওয়া হলে দায়ী ব্যক্তিকে আইন অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা হবে।’ সাংবাদিকরা নির্ভয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন এ রকম চিন্তা করেই নীতিমালা তৈরি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অনুসারী কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সংঘর্ষ ও আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আমরা সচেষ্ট। আমাদের কাছে অভিযোগ আসুক না আসুক নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন সংসদীয় এলাকা ঘুরে ঘুরে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও ভোটের পরিবেশ ঠিক রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে। সেগুলো আপনারা স্তরে স্তরে দেখতে পারবেন।’
ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনটা যেন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয়, ভোটাররা এসে তাদের ভোটাদিকার প্রয়োগ করে তাদের পছন্দ মাফিক প্রার্থীকে বেছে নিতে পারেন, এ বার্তা দেওয়ার জন্য আমার নওগাঁয় আসা।
ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা বলেন, ‘আইনে হুমকিদাতাকে অপরাধী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়ার বিধান আছে। ভোটারদের বলব, নির্ভয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়ে অভিযোগ করতে।’
নওগাঁর ছয়টি সংসদীয় আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।