দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন তা আ.লীগের হাত ধরেই হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাতৃভূমির স্বাধীনতা থেকে শুরু করে এ দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন, তা এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। স্বাধীনতাসহ দেশের যত উন্নয়ন হয়েছে তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। তাই ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নেব। আরও একবার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়ন ও আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পাশাপাশি বাসস্থান, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমিয়ে এনেছি। দেশের জনগণ সেটার সুফল পাচ্ছে। এসডিজি অর্জন ও এসডিজি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব নাগরিকের জন্য সার্বজনীন পেনশনের ব্যবস্থা চালু করেছি। জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে নিশ্চিত করেছে। ২১০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েছে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে রূপান্তর হওয়ার জন্য আমরা পরিকল্পনা করেছি।’ তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে ভাড়াভিত্তিক, অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের অঙ্গীকার দিয়েছে আওয়ামী লীগ।’
আওয়ামী লীগের প্রকাশিত নির্বাচনি ইশতেহারে বলা হয়, ‘উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল প্রতিটি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যাপ্ত, নির্ভরযোগ্য ও ক্রয়ক্ষমতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ মূল্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংস্থান একটি পূর্বশর্ত। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বিদেশি শোষণ চিরতরে বন্ধ ও জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষা দিতে দেশের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদসহ সব প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইশতেহার ঘোষণায় বলেন, ‘২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে যে ইশতেহার আমরা দিয়েছিলাম, সফলভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করেছি। ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, তা দ্বাদশ নির্বাচনের ইশতেহার রাখা হয়েছে।’