আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বাহার ও শম্ভুকে অর্থদণ্ড
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কুমিল্লা-৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া বরগুনা-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে তাদের এই অর্থদণ্ড করা হয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আগামী তিন দিনের মধ্যে ট্রেজারি চালানোর মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জরিমানার অর্থ বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিটানিং কর্মকর্তা বিষয়টি পরে ইসিকে জানাবে।’
এর আগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বাহার ও শম্ভুকে তলব করেছিল ইসি। গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে ইসির আইন শাখার
উপসচিব মো. আব্দুছ সালাম এ দুই প্রার্থীকে তলব করার পৃথক চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তারা দুজনই একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য।
ওই দুই চিঠিতে বলা হয়েছিল, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, তারা একাধিকবার নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম করেছেন এবং আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। এ জন্য তাদের নির্বাচনি তদন্ত কমিটি কারণ দর্শাতে একাধিকবার নোটিশও দিয়েছিলেন।
বাহারের প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না সে ব্যাখ্যা দিতে বাহারকে আজ বেলা সাড়ে ৩টায় ইসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় চিঠিতে। অন্যদিকে, জরিমানা অথবা প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, সে ব্যাখ্যা দিতে শম্ভুকে একইদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
শুনানির জন্য আজ বেলা ৩টার দিকে ইসিতে আসেন বাহার। সাড়ে ৩টার দিকে সিইসির সভাকক্ষে শুনানি শুরু হয়। এই শুনানির নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শুনানির আগে কুমিল্লা-৬ আসনের প্রার্থী বাহার বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার প্রার্থিতা বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াতের লোকজন নাশকতার চেষ্টা করছে। তারা নির্বাচন প্রতিহতের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। বিষয়টি আমি স্বীকার করছি।’