সিলেটে প্রতীক পাননি স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুহিবুর, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিচে বিক্ষোভ
নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র ও সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুহিবুর রহমান। তিনি অভিযোগ করেছেন, আদালতের নির্দেশনার পরও তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছেন না রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার দাবিতে সিলেট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে সমর্থকদের নিয়ে মানববন্ধন করেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুহিবুর রহমান।
মানববন্ধনের সময় ওই প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে প্রতীক বরাদ্দের দাবিতে লেখা বিভিন্ন ধরণের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। মানববন্ধন থেকে দাবি করা হয়, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না।
বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে, মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে ৪ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে মুহিবুর রহমান ইসিতে আপিল করেন। গত ১৫ ডিসেম্বর ইসি আপিল নামঞ্জুর করে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন মুহিবুর রহমান। ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
মুহিবুর রহমানের দাবি, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার কথা। কিন্তু, সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা নানাভাবে টালবাহানা করছেন। আজকের আগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনি একাধিকবার এসেছিলেন। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে অধৈর্য না হতে বলেছিলেন। বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে অনাপত্তির জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন। কিন্তু, আজ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাওয়ার পর তিনি আপিলের কাগজ দেখিয়েছেন। বলেছেন, উচ্চ আদালতে আপিল প্রক্রিয়াধীন। মুহিবুর দাবি আরওকরেন, কোনো আপিল করা হয়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা না মেনে আদালতকে অবজ্ঞা করছেন।
এ বিষয়ে সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সঙ্গে বারবার চেষ্টার পরও যোগাযোগে সম্ভব হয়নি। খুদেবার্তা দিলেও তার উত্তর আসেনি। তবে, তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, মুহিবুর রহমান বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। তার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন। সেখানেও সেটি অবৈধ হয়। পরে উচ্চ আদালতে আপিলে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে সে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। এখন আপিল অবস্থায় আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতীক বরাদ্দের ক্ষমতা নেই।