ভোট চুরি করলে ক্ষমতায় থাকা যায় না, এটা প্রমাণিত : প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশে একটি সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আর বিএনপি চায় কারচুপির নির্বাচন। জনগণের ভোট চুরি করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার বহু চেষ্টা করেছে। কিন্তু জনগণের ভোট চুরি করলে ক্ষমতায় থাকা যায় না, এটা প্রমাণিত হয়েছে। কারণ জনগণের ভোট চুরি করলে জনগণ তা মেনে নেয় না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) অনলাইনে যুক্ত হয়ে নির্বাচনি জনসভায় এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে দেশে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। এদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। দেশবাসী এর সুফলও পাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতায় আসে জানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে একটানা ক্ষমতায় আছি বলে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছি। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এবং শিক্ষার উন্নয়ন করতে পেরেছি। আমরা বাংলাদেশকে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করতে পেরেছি। আমরা বেকারত্বের হারও কমিয়ে তিন শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছি। দেশে আমরা ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছি।
বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছি, তখন বিএনপি সন্ত্রাস করে চলেছে। তাদের কাজই হচ্ছে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা। তারা মানুষকে পুড়িয়ে মারার মতো জঘন্য কাজ করছে। ২০১৩-১৪ সালে যেমন করেছে, কিছুদিন আগেও তারা একই কাজ করেছে। এসব ঘটনা সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। তারা বিচারপতিদের বাসাবাড়িতে হামলা করেছে, সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, পুলিশকে পিটিয়ে মেরেছে। এগুলোর জবাব দেশবাসীকে ভোটের মাধ্যমে দিতে হবে। আমরা চাই, দেশবাসী ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে এসব সন্ত্রাসের জবাব দিক এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুক।
নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নৌকা মার্কার প্রার্থী রয়েছে। এর বাইরেও আমরা নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কাজেই আপনারা আপনাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেবেন। কিন্তু কোনোরকম গণ্ডগোল আমি চাই না। কোনো ধরনের সহিংসতা যেন না হয়, সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখাতে হবে। নির্বাচনে যারা যার ভোট শান্তিমতো দেবে, সেই পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি। ভোটের পরিবেশটা আমাদের ঠিক রাখতে হবে। কারণ আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, এ নির্বাচনটা বাংলাদেশের জন্য একান্ত জরুরি। কারণ বাংলাদেশকে নিয়ে অনেকেই অনেক রকম খেলা খেলতে চায়। এদেশের ভাগ্য নিয়ে যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকে, আমাদের সেই চেষ্টাই করতে হবে।