বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যা ভাবছে বিদেশিরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী রোবাবর (৭ জানুয়ারি)। আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার। এখন অপেক্ষা ভোটের দিনের। এরপর জানা যাবে ফলাফল। এমন এক মুহূর্তে বর্তমান সরকার বিরোধীদের দাবি, এই নির্বাচন পাতানো। অনেক নেতারা বিভিন্ন দেশের নাম উল্লেখ করে দাবি করেছেন, তাদের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় হতে চলেছে এই নির্বাচন। আবার ক্ষমতাসীনদের দাবি, বিদেশিদের সঙ্গে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি। তবে, ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র এমনকি, জাতিসংঘ গত কয়েক দিনে ফের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেছে।
এই নির্বাচন নিয়ে চীন বলছে, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি মাইলফলক হবে। অন্যদিকে, ভারত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছে।
চীন আশা করছে, নির্বাচন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করি, এটি একটি সফল ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতার জন্য একটি মাইলফলক হবে।’ তিনি বলেন, তারা (চীন) আশা করছেন, নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ‘শক্তিশালী, আরও স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ’ হবে।
একইদিন নয়া দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে বলে আসছি—বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
নবনিযুক্ত মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ঠিক সেখানেই আছি। গত সংবাদ সম্মেলনেও এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। আমার আগে যিনি ছিলেন, তিনিও এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। সুতরাং বিষয়টি আমি এই অবস্থাতেই রেখে দিচ্ছি।’
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকবার বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছি। আমরা খুব নিবিড়ভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করব।’
মিলার বলেন, যে কোনো অগ্রগতিতে তারা কী পদক্ষেপ নিতে পারেন বা নাও নিতে পারেন সে সম্পর্কে তিনি কখনোই অনুমান করবেন না।
জাতিসংঘ বলেছে, তারা বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া ‘নিবিড়ভাবে’ পর্যবেক্ষণ করছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো ৩ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করি, সব নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’