গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি ও সাঘাট) আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে বলে ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদ। তবে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে—এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তারা। আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসির জনসংযোগ শাখা থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
গাইবান্ধা-৫ আসনে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে কর্মকর্তাদের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে রিট করেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন।
রিট আবেদনের শুনানির পর গত বুধবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে গাইবান্ধার সাঘাটার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সরানোর নির্দেশ দেন।
ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর গত বছর জানুয়ারিতে এই আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী। এবারও তিনি নৌকা প্রতীকে লড়ছেন। আর ট্রাক প্রতীকে লড়ছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলী।
২০২২ সালের ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি। পরে অনিয়মে জড়িতদের চিহ্নিত করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। সেই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মে সম্পৃক্ততার কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পুলিশের উপপরিদর্শক, নির্বাহী হাকিমসহ শতাধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনি এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় ইসি। এরপর ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি সেখানে নতুন করে ভোট হয় এবং মাহমুদ হোসেন রিপন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।