বিনা ওয়ারেন্টে আমার নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে : এ কে আজাদ
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এ কে আজাদ বলেছেন, ‘আমার নেতাকর্মীদের নামে সাজানো ও মিথ্যা মামলা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে কানাইপুরে চেয়ারম্যান বেলায়েত ফকিরকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। বিনা ওয়ারেন্টে আমার অনেক নেতাকর্মীকে এখনও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর শহরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।
এ কে আজাদ বলেন, ‘একের পর এক হামলা করা হচ্ছে আমার সমর্থকদের ওপর। ভোটের আগের দিনের এসব ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।’
ঈগল প্রতীকের এই স্বতন্ত্রপ্রার্থী বলেন, ‘আমার ঈগলের পক্ষে জনসমর্থন দেখে তা নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম হক ও তার সমর্থকেরা। নৌকার এই প্রার্থী নানা কায়দায় বাধা সৃষ্টি করছেন। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ঈগল সমর্থক নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনায় পাঁচটি মামলা ও ১৪টি জিডি করার পরেও দু-একটি ছাড়া তেমন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে।’
এ কে আজাদ বলেন, ‘গত রাতেও আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে নৌকা সমর্থকেরা। শুক্রবার রাতে আলিয়াবাদ ইউনিয়নে পলি মেম্বারের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। কুপিয়ে আহত করা হয়েছে ছয়জনকে। এ ছাড়া মাচ্চর ইউনিয়ন ও অম্বিকাপুর ইউনিয়নেও হামলা ও আটকের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে শেষ সময়ে এসে। শামীম হক কোনো উপায় না দেখে এখন তিনি পুলিশকে ব্যবহার করছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সবুল চন্দ্র সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি মাসুদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মনিরুল আহসান মিঠু ও মাচ্চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ বেপারীসহ অন্যান্যরা।