রাজধানীর সড়কগুলো ফাঁকা, চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশের ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায়। এ নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে না গিয়ে গণকারফিউ পালনের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপিসহ আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলো। সেই সঙ্গে ডাকা হয়েছে টানা দুদিনের হরতাল। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর সড়কগুলোতে নেই গণপরিবহণের চাপ। ভোটের কারণে আজ সাধারণ ছুটি। যদিও নির্বাচনের সময় গণপরিবহণ চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে। চলছে বিভিন্ন বাহিনীর টহলও। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন, কাকরাইল, শাহবাগ, বাংলামোটর ও কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
রাজধানীর প্রবেশমুখ যাত্রাবাড়ীতে সকাল ৭টার দিকে গিয়ে অনেকটা অচেনাই লাগছিল। প্রতিদিনের সেই কোলাহল নেই। দু’একটি রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা ছাড়া তেমন কোনো যানবাহন চোখে পড়েনি। মানুষজনের আনাগোনাও নেই, দোকানপাটগুলোও ছিল বন্ধ। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের বহনকারী কয়েকটি বাস ও মাইক্রোবাস চলতেও দেখা গেছে এই এলাকায়।
নির্বাচনে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ২৮৮ জন আনসার সদস্য। এ ছাড়া ৬২ জেলায় সেনাবাহিনীর সদস্য রয়েছে ৩৮ হাজার ১৫৪ জন এবং ভোলা ও কক্সবাজার জেলাসহ মোট ১৯টি জেলায় নৌবাহিনীর সদস্য রয়েছে দুই হাজার ৮২৭ জন। বাকিদের মধ্যে রয়েছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ড।
ইতোমধ্যে গত ৩ জানুয়ারি থেকে ভোটের মাঠে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট আট দিন মাঠে থাকবেন তারা। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত লাইসেন্সধারীরাও আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে পারবেন না।
নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরনের অরাজকতা থামাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।