খুলনা জেলার ছয়টি আসনেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এরমধ্যে খুলনা-৪ ও ৫ আসন ছাড়া বাকি চারটি আসনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা। রোববার রাতে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বেসরকারিভাবে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন।

ফলাফল ঘোষণার সময় কোনো বিজয়ী প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন ।

খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে মোট ১১০টি কেন্দ্রে চার প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকের ননী গোপাল মণ্ডল এক লাখ ৪২ হাজার ৫১৮ পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় পেয়েছেন পাঁচ হাজার ২৬২ ভোট।

খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল ৯৯ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. গাউসুল আজম পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪১ ভোট।

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর ও খানজাহান আলী) আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ৯০ হাজার ৯৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন পেয়েছেন চার হাজার ৮৭৩ ভোট।

খুলনা-৪ (রুপসা-তেরখাদা ও দিঘলীয়া) আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুস সালাম মুর্শেদী ৮৬ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ছাত্রলীগনেতা ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৯৩ ভোট।

খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া ও ফুলতলা) আসনে নৌকা প্রতীকের সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এক লাখ ১০ হাজার ২১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগনেতা ঈগল প্রতীকের শেখ আকরাম হোসেন পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৭৭ ভোট।

খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মো. রাশীদুজ্জামান এক লাখ তিন হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী জি এম মাহবুবুল আলম পেয়েছেন ৫১ হাজার ৪৭৪ ভোট।

এর আগে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় ভোটগ্রহণ।