বিজয় মিছিল না করার নির্দেশ শেখ হাসিনার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিল না করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার (৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর বরাতে এ নির্দেশনার কথা জানান আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
সায়েম খান জানান, ফলাফল ঘোষণার পর কোনো প্রকার বিজয় মিছিল না করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে অন্যপ্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সহিংসতা বা আত্মকলহে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন তিনি।
রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন হয়েছে ২৯৯ আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন এক হাজার ৯৭১ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দাবি করেছেন নির্বাচনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বড় অংশই বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে, তারা ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছে।
দিনের বড় ঘটনা হলো চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল। ময়মনসিংহ-৩ আসনে ব্যালোট বক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি কেন্দ্র স্থগিতের কারণে অপ্রকাশিত ফল।
এ ছাড়া চট্টগ্রামেই অপর এক ঘটনায় প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জে একজন নৌকার সমর্থককে হত্যা করা হয়। তবে, নির্বাচন কমিশনের দাবি, এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক ঘটনা নয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ২৯৯ আসনের মধ্যে একটি বাদে এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে মোট ২৯৮ আসনের ফলাফল। সেই ফলাফলে ২২২ আসন নিয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। চমক দেখিয়ে ৬২ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টি (জাপা) এবার বিজয়ের দেখা পেয়েছে মাত্র ১১টিতে। এদিকে, কল্যাণ পার্টি একটি এবং মহাজোটের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি পেয়েছে একটি করে মোট দুটি আসন। অন্যদিকে, খালি হাতে ফিরেছে বিএনপির দলছুট নেতাদের নিয়ে গঠিত শমসের মুবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপিসহ ২৩টি দল।