ব্যক্তিগত সহকারীর কাছে হারলেন মঞ্জু
পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালী, নেছারাবাদ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে হেরে গেলেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, ভোট গণনা শেষে প্রাপ্ত ফলাফলে মহিউদ্দিন মহারাজ বিজয়ী হয়েছেন। এ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৯৯ হাজার ২৬৮টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৭০ হাজার ৬৮১ ভোট।
জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী থাকাকালে তার ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) ছিলেন মহিউদ্দিন মহারাজ। এ আসন থেকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাতবার সংসদ সদস্য হয়েছেন।
মহাজোটের শরিক হিসেবে এই আসনটি ২০০৮ সালের নির্বাচন ছাড়া প্রতিবারই আওয়ামী লীগ মঞ্জুকে ছেড়ে দিয়ে আসছে। তিনি এ পর্যন্ত ১৪ বছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পিরোজপুর-২ আসনের তিন উপজেলার মধ্যে ভান্ডারিয়াতে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (নৌকা) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬১ ভোট। আর মহিউদ্দিন মহারাজ পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬০৭ ভোট। এই উপজেলায় ১৪ হাজার ৫৬৪ ভোট বেশি পান মহারাজ।
নেছারাবাদ উপজেলায় ঈগল প্রতীক নিয়ে মহিউদ্দিন মহারাজ পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৮৪৭ ভোট। আর নৌকা নিয়ে জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৯৮ ভোট। এখানে নৌকার থেকে ঈগল বেশি পেয়েছে ১১ হাজার ৪৪৯ ভোট।
কাউখালী উপজেলায় মহারাজ পেয়েছেন ১৩ হাজার ২৭০ ভোট অন্যদিকে মঞ্জু পেয়েছেন ৯ হাজার ৮৭৪ ভোট। এ উপজেলায় মঞ্জুর থেকে ঈগল প্রতীক নিয়ে মহারাজ প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন।