শিমু হত্যাকাণ্ড
অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন জায়েদ খান
অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাঁর বেশ কিছু সহকর্মী (চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে পদ হারানো) এই ঘটনায় অভিযোগের তির ছোড়েন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের দিকে। এবার এই অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন জায়েদ খান।
শিমু হত্যাকাণ্ডের খবর সামনে আসতেই তাঁর বেশ কিছু সহকর্মী গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন, ১৮৪ জন শিল্পী তাঁদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে যে আন্দোলন করছেন, তাঁর অন্যতম ছিলেন এই শিমু। জায়েদ খান তাঁদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের পেছনে জায়েদ খানের হাত থাকতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন তাঁরা।
তবে এরই মধ্যে অভিনেতা শিমু হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন তাঁর স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেল।
আজ দুপুরে জায়েদ খান এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় জানিয়েছেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার নাম জড়িয়ে যাঁরা গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমার সম্মানহানি করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেব। গেল দুই বছরে শিমুর সঙ্গে আমার দেখা ও কথা হয়নি। সামনে নির্বাচন, তাই কেউ কেউ নোংরা রাজনীতি করছে।’
জায়েদ খান আরও জানিয়েছেন, ‘রাতেই আমি তাঁর বাসায় গিয়েছিলাম। তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছি।’
গত রোববার সকাল থেকে শিমু নিখোঁজ ছিলেন। তার পর পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। পরে কলাবাগান থানায় জিডি করা হয়। একদিন পর সোমবার দুপুরে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়।
১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত শিমু ২০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন। সর্বশেষ একটি বেসরকারি টিভিতে মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন। টুকটাক নাটকেও কাজ করতেন। এনটিভির জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’-এ চৈতী চরিত্রে অভিনয় করেন শিমু।