‘আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ কেন হয়েছে জেনে কী করবেন?’
বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণার পরই ফেসবুক ছেড়েছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তবে ইনস্টাগ্রামে ছিলেন পূর্বেকার মতোই স্বচ্ছন্দে। কারণটা হয়তো কমেন্ট সেকশন। ইনস্টাগ্রামে পাবলিক কমেন্ট বন্ধ রেখেছেন এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে এই কমেন্ট নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শবনম ফারিয়া। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ২টা ৪২ মিনিটে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘অপুর (সাবেক স্বামী) কমেন্ট সেকশনে মানুষের কমেন্ট পড়ে আমি নির্বাক তাকিয়ে থাকি! অপুর প্রতি মন থেকে আমার কৃতজ্ঞতা তার এই সহনশীলতার জন্য! তার এই ধৈর্যের জন্য তার প্রতি আমার সম্মান অনেক অংশে বেড়ে গেল... ভাই, আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ কেন হইসে আপনি জেনে কী করবেন? আমরা যদি আলাদা হয়ে ভালো থাকি, আপনার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে? নাকি গিফ্ট পাঠাবেন কোনো? আর যদি খারাপও থাকি আপনি কি আজকে রাতে না খেয়ে থাকবেন?’
স্ট্যাটাসের শেষ অংশে শবনম ফারিয়া আরো যুক্ত করেছেন, ‘কেন একটা মানুষ, যে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো একটা বিষয়ের মধ্য দিয়ে গেছে তিন মাসও হয়নি তাকে অপ্রয়োজনীয় কমেন্ট করে হ্যারাস করা? এটা কেমন ধরনের ফান? অন্যের কষ্ট দেখে একটা মানুষের কীভাবে আনন্দ লাগতে পারে! এটা তো অসুস্থতা! দেশে এত অসুস্থ মানুষ! বিশ্বাস করেন, বিবাহ বিচ্ছেদের চেয়ে কষ্টের কিছু একটা মানুষের জীবনে ঘটতে পারে না! প্রিয় মানুষের মৃত্যু অনেক কষ্টের, কিন্তু জীবিত প্রিয় মানুষের সঙ্গে বিচ্ছেদ কত কষ্টের, যে তার মধ্য দিয়ে না যায়, সে বুঝবে না! দয়া করে এবার ক্ষমা করেন... আমরা আলাদা হয়ে ভালো আছি, আমাদের ভালো থাকতে দিন... আমাদের নিয়ে আপনাদের চিন্তিত হতে হবে না!’
ফারিয়া আরো যুক্ত করেছেন, ‘চিন্তিত হওয়ার জন্যে আমাদের পরিবার, আত্নীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধব আছে। আপনারা নিজের চরিত্র, পরিবার ও সংসারের দিকে মন দিন... যাতে আপনাদের সংসার টিকে যায়! আপনারা সম্ভবত নিজেদের জীবনেও সুখী না, তাই অন্যের কষ্টে এত আনন্দ হয়...।’
গেল বছরের ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৫টা ৪৩ মিনিটে এক দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিবাহ বিচ্ছেদের খবর জানিয়েছিলেন শবনম ফারিয়া ও হারুনুর রশীদ অপু। শবনম ফারিয়া টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজের মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ২০১৩ সালে ‘অল টাইম দৌড়ের উপর’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে নাট্যাঙ্গনে পা রাখেন। ২০১৮ সালে ‘দেবী’ দিয়ে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে।