আলু-শিঙাড়া ও চিকন জিলাপি খেতে পছন্দ করি : আরিফিন শুভ
ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। আলোচিত ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার দুই কিস্তির শুটিংয়ের জন্য বডি ট্রান্সফরমেশন করে নতুন করে আলোচনায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ চিত্রনায়ক। সুঠাম দেহের শুভ শরীর ফিট রাখতে কী ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন, ব্যক্তিজীবনে শুভ কতটা ভোজনরসিক, এসব নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই।
সম্প্রতি দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিতে প্রচারিত ফুডপান্ডার ‘ফর দ্য লাভ অব ফুড’ শো-তে শুভ কথা বলেছেন তাঁর রন্ধনশিল্প ও ব্যক্তিজীবনের নানা বিষয় নিয়ে।
অবসরে প্রায়ই নিজের খাবার নিজে তৈরি করেন শুভ। শো-তে কাজের বিনিময়ে খাদ্য বিষয়টি সার্বিকভাবে কেমন লেগেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে খানিকটা হেসে বলেছেন, “বিষয়টি আসলে অনেক ইন্টারেস্টিং এবং খুবই উপভোগ্য ছিল; এর অন্যতম কারণ হলো কোনো শো-তে গেলে সাধারণত আড্ডা, অভিনয়-সংক্রান্ত কথাবার্তা বলে চলে আসি। কিন্তু ‘ফর দ্য লাভ অব ফুড’ শো-তে বিএফসির সিইও আশরাফ উদ্দৌলাহর সহযোগিতায় মুখে জল আনার মতো নস্টালজিক চিকেন ফ্রাই, ফ্রাইড রাইস উইথ গ্রিল চিকেন ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করেছি। এ জন্যই শো-তে ফান করে বলেছি কাজের বিনিময়ে খাদ্য।”
ডিসিপ্লিন, ডেডিকেশন ও কমিটমেন্ট, এই তিনের সমন্বয়ে আরিফিন শুভ। স্টাইলিশ এই অভিনেতার একশোর মতো সানগ্লাস সংগ্রহে আছে; জিন্স পড়তে পছন্দ, আলু-শিঙাড়া ও চিকন জিলাপি খেতে পছন্দ করেন। শুভর প্রিয় ভিলেন ও অভিনেতা হুমায়ূন ফরিদী। শাহরুখ খানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন, এই গুঞ্জন সত্য হলে খুশি হবেন বলেও জানান তিনি।
করোনা মহামারিতে ফুডপান্ডা অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার করে খেয়েছেন প্রিয় রেস্টুরেন্টের খাবার। এখনো বাসা থেকে বের হতে না চাইলে ফুডপান্ডা অ্যাপে পছন্দের রেস্টুরেন্টের খাবার অর্ডার করেন। ‘ফর দ্য লাভ অব ফুড’-এর আয়োজক ফুডপান্ডার সেবা এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার বিষয়ে আরিফিন শুভ বলেন, ‘ফুডপান্ডা শুরু থেকেই তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আজকে তারা খাবারের জগতে আস্থাভাজন হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিচ্ছে; এটা নিয়ে ফুডপান্ডা প্রশংসার দাবিদার।’
বডি ট্রান্সফরমেশন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনায় এসেছেন, এ বিষয়ে শুভ বলেন, ‘দর্শক তারকাদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করবেন, এটাই স্বাভাবিক। বিভিন্ন ধরনের দর্শক আছেন, তাঁদের ধ্যান-ধারণাও ভিন্ন ভিন্ন। তবে আমার মনে হয়, সমালোচনা করার ক্ষেত্রে ভাবা দরকার আসলেই বিষয়টি কতটুকু সমালোচনার যোগ্য; এবং যৌক্তিক উপায়ে সমালোচনা করলে আশা করি আমরা কাজে অনুপ্রেরণা পাব।’