চ্যাট সুপার এডিটেড, যতবার নির্বাচন হবে ততবার জিতব : জায়েদ খান
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়া চিত্রনায়িকা নিপুণ বিজয়ী চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আজ রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে নিপুণ। সংবাদ সম্মেলনে প্রজেক্টরে জায়েদ খানের সঙ্গে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (যাঁকে স্যার বলে সম্বোধন করছিলেন জায়েদ খান) কথোপকথন পড়ে শোনান নিপুন। যেখানে নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন চ্যাট (খুদে বার্তা) দেখানো হয়েছে। যদিও এই আলাপ জায়েদ খানের কি না, তা নিশ্চিত হয়নি এনটিভি অনলাইন।
নিপুণের ওই চ্যাট (খুদে বার্তা) সুপার এডিটেড বলে মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। এফডিসিতে উপস্থিত সাংবাদিকদের জায়েদ খান বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। সুপারভাবে এডিট করা। আমাকে মার্ডার কেসে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। পপিকে দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছে। ইতোমধ্যে আমি সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে এসবের বিরুদ্ধে আমি মামলা করব। আমি আসলে খুবই হতবাক! এত সুন্দর নির্বাচন করার পরেও এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
টানা তৃতীয় বার শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পাওয়া জায়েদ খান আরও বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যেসব ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে, এটা তথ্যসস্ত্রাস। শুধু আমি জায়েদ খান বলেই এসব সহ্য করছি।’
আগামীতে যদি আবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নেন তখনও বিপুল ভোটে জিতবেন বলে জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সদ্য বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
জায়েদ খান বলেন, ‘আমি এত আত্মবিশ্বাসী, কারণ আমি ভালো কর্ম করেছি। আমি সততা নিয়ে কাজ করেছি। আর সততার সাথে ভালো কাজ করলে তাদের নিয়ে কিছু মানুষ কথা বলবেই। শিল্পীরা ফোন করে আমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। তারা আমার জয়ে খুশি। গত চার বছর ধরে তাদের জন্য কাজ করেছি, তাহলে তারা কেন আমাকে ভোট দেবে না? যতবার এখানে নির্বাচন করব, ততবারই আমি জয়ী হব। এটা আমার আত্মবিশ্বাস।’
নির্বাচনে নিপুনের প্যানেল থেকে সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চনসহ ১০ জন প্রার্থী। তাই নিপুন চান না পুরো নির্বাচন পুনরায় হোক। জায়েদ খানের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁর পদটি স্থগিত করে এ পদে পুনরায় নির্বাচন করতে চান নিপুন।
নিপুণ অভিযোগ করে বলেন, ‘পীরজাদা হারুন, (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) আপনার কী স্বার্থ ছিল, কেন এমন করলেন আমাদের সঙ্গে? ভোটারদের টাকা দেওয়ার বিষয়ে আপনার কাছে অভিযোগ করেছি, কিন্তু আপনি পদক্ষেপ নেননি। নিয়ম-কানুন কি কাঞ্চন নিপুন-প্যানেলের জন্য ছিল? নির্বাচন কমিশনার একটি চক্র, এটা জায়েদ খানের চক্র। তার সঙ্গে ছিল এফডিসির এমডিও (নুজহাত ইয়াসমিন)। তারা তিন জন মিলে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আমার মনে হয়, এ বিষয়ে তদন্ত করা উচিত।’