ডক্টরেট ডিগ্রি প্রসঙ্গে মমতাজ, ‘মানুষ সমালোচনা করবেই’
লোকসংগীতের সুরসম্রাজ্ঞীখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ভারতের তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন, গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমন দাবি করেন এই সংগীত তারকা, যা নিয়ে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।
ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট বিডিফ্যাক্টচেক ডটকমের অনুসন্ধান বলছে, যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জনের কথা কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বলছেন, সেই নামে বৈধ কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই ভারতে। ৯৭৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটির নাম।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতায় এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মমতাজ প্রথমে বলেন, ‘আমি যে ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছি, সেটা ভুয়া নয়। নাম নিয়ে একটা ঝামেলা আছে। আমি শুনেছি টাকা নিয়ে যারা ডিগ্রি দেয়, সেটার নাম গ্লোবাল পিস ইউনিভার্সিটি; আমি যেখান থেকে নিয়েছি সেটা গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি।’
মমতাজ আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টি ভুয়া বলে আমার মনে হয়নি। সেখানে অনেক গণমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। আমি তাঁদের ডকুমেন্ট ও অনুষ্ঠানে কারা ছিলেন সেই তালিকা পাঠাই, আপনি দেখেন। তাঁদের যে আয়োজন, সেটা দেখে আমার ভুয়া বলে মনে হয়নি। সেখানে তামিলনাড়ুর সাবেক স্পেশাল কমিশনার ও মুখ্য সচিব কে সামপাত কুমার, সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার কে রামাচন্দ্রনসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এত গণ্যমান্য মানুষ, সবাই যদি ভুয়া হয় তাহলে তো আর...।’
কীভাবে ও কী প্রক্রিয়ায় এই ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন? এমন প্রশ্নে মমতাজের উত্তর, ‘আমি নিজে তো চাইনি। তাঁরা আমাকে খুঁজে নিয়েছেন। আমার সারা পৃথিবীতে একমাত্র সংগীতশিল্পী হিসেবে প্রকাশিত আট শতাধিক অ্যালবামের বিশ্ব রেকর্ডসহ একাধিক অর্জন খুঁজে বের করে তাঁরা আমাকে ডেকে এই ডিগ্রি দিয়েছেন।’
অন্তর্জালে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে এই ব্যাপারটি নিয়ে। যদিও এ প্রসঙ্গে সংগীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজের ভাষ্য, ‘সমালোচনা তো মানুষ করবেই। কেউ এগিয়ে গেলে, পেছনে...।’
২০০০ সালে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’-তে ‘রিটার্ন টিকিট’ গান গেয়ে খ্যাতি অর্জন করেন মমতাজ বেগম। এরপর উপহার দিয়েছেন শ্রোতাপ্রিয় অসংখ্য গান। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে মমতাজ একাধিকবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।