জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘অর্থহীন’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন (বেসবাবা সুমন) দীর্ঘ পাঁচ মাসের চিকিৎসা দেশে ফিরেছেন।

ব্যাংকক ও দুবাইয়ে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, ‘আমি এখন আগের চেয়ে অনেক সুস্থ। স্পাইনের ব্যথা অনেক কম। আগে ২-৩ মিনিটের বেশি বসে থাকতেই পারতাম না। এখন প্রতিদিন ২-৩ কিলোমিটার হাঁটাহাঁটি করতে পারি।’

এই ব্যান্ডতারকা আরও জানিয়েছেন, ‘আমার স্পাইনের সার্জারি লাগবে, কিন্তু সেটা আগামী এক বছরের মধ্যে করলেও চলবে। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার খারাপ সময়ে পাশে থাকার জন্য, আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য।’

স্পাইনাল কর্ড, ফুসফুসসহ একাধিক সময় ভুগতে থাকা বেসবাবা সুমনের জার্মানি যাওয়া প্রয়োজন ছিল একটি অস্ত্রোপচারের জন্য। চিকিৎসকের সাক্ষাৎ-তারিখ নেওয়ার পরেও করোনার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। তবে জটিলতা বাড়ায় তাঁকে চলতি বছরের মার্চে ব্যাংককে নেওয়া হয়।

ক্যানসারকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সেই আঙুল দিয়ে বারবার গিটারে ঝড় তুলেছেন যিনি, তিনি সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন (বেসবাবা সুমন)। দেশের অন্যতম সেরা বেস গিটারিস্ট সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন তাঁর রক-সংগীতের জীবন শুরু করেন ১৯৮৬ সালে ‘ফ্রিকোয়েন্সি’ ব্যান্ড গঠনের মাধ্যমে। ১৯৯৭ সালে যোগ দেন ব্যান্ড ‘ওয়ারফেজ’-এ গিটারবাদক হিসেবে। দুই বছর পর ‘ওয়ারফেজ’ ছেড়ে সুমন নিজের প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুমন ও অর্থহীন’ প্রকাশ করেন এবং সে বছরই প্রতিষ্ঠা করেন ‘অর্থহীন’ ব্যান্ড। ২০১৩ সাল থেকে একাধিকবার ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও গান ছাড়েননি আলোচিত গিটারিস্ট।