পরী মণির জীবন অনেকটা আমার জীবনের মতো : তসলিমা নাসরিন
চিত্রনায়িকা পরী মণির জীবন অনেকটা তাঁর জীবনের মত বলে মন্তব্য করেছেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। শুক্রবার মধ্যরাতে পরী স্বামী চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এরপরই অন্তর্জালে এমন মন্ত্যব করেছেন এই লেখিকা। তসলিমার ভাষ্য, ‘পরীমণির জীবনটা অনেকটা আমার জীবনের মতো। মানুষকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে, আঘাত পায়, কাঁদে, সরে আসে, আবার বিশ্বাস করে, আবার আঘাত পায়, আবার কাঁদে, আবার সরে আসে, আবার বিশ্বাস করে...। এ যেন একটা চক্রের মতো। সৎ, সরল, এবং সংবেদনশীল মানুষই এই চক্রের মধ্যে পড়ে যায়।’
বিতর্কিত লেখিকা ফেসবুক পোস্টে আরও যুক্ত করেছেন, ‘পরীমণি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে, ও যদি মাথা উঁচু করে, মেরুদণ্ড সোজা করে একা বাঁচতে না পারে, তবে আর পারবে কে? আমি পেরেছি। আরও অনেকেই পেরেছে। নিজেকে ভালোবাসলে পারা যায়। আমাদের তো এই দোষ, আমরা নিজেকে ভালোবাসি না। জগতের আর কোনও প্রাণী নয়, এই আমরা মেয়েরাই আমাদের আততায়ীকে ভালোবেসে তার সঙ্গে এক ঘরে, এক ছাদের তলায় বাস করি!’
রাজের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি প্রসঙ্গে পরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, পারলাম না। তাঁর আচার-আচরণ একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি নাই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম। আমার মনমানসিকতা এখন ভালো নাই, এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।’
রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে পরীর ভাষ্য, ‘এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজ থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। শিগগির বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব।’
এর আগে পরী মণি এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরী আর কিছুই নেই।’
গেল বছর ‘গুণিন’ সিনেমার শুটিংয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান পরী ও শরিফুল রাজ। গোপনে বিয়ের পর এ বছরের জানুয়ারিতে বিয়ে ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দেন পরী। গেল ১০ আগস্ট রাজ-পরীর কোলজুড়ে আসে এক পুত্রসন্তান, নাম শাহেম মুহাম্মদ রাজ্য।