বাবা-ছেলে—মেগাস্টার চিরঞ্জীবী ও মেগা পাওয়ার স্টার রাম চরণের নতুন সিনেমা ‘আচার্য’ মুক্তি পেয়েছে ২৯ এপ্রিল। প্রথম দিন বিশ্ব বক্স অফিসে মোটামুটি অর্থ সংগ্রহ করলেও এর পরের দিন থেকে ধস নামা শুরু। বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা বলছেন, বক্স অফিসে এত বড় বিপর্যয় রাম চরণ, চিরঞ্জীবী; এমনকি তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিও দেখেনি।

ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিল্মিবিট বলছে, বক্স অফিস সংগ্রহের দিক থেকে ‘আচার্য’ সিনেমাকে ‘অল টাইম ডিজাস্টার’ বলা যায়। সিনেমাটির প্রেক্ষাগৃহ স্বত্ব-মূল্য ১৩২ কোটি রুপি হলেও মাত্র ৪৬ কোটি রুপি (নেট) সংগ্রহ করতে পেরেছে, যা তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ‘অল টাইম বিগেস্ট ডিজাস্টার’।

এবার বলিউড লাইফের খবর, বিপুল অর্থের লোকসান করতে চলেছে রাম চরণের ‘আচার্য’ সিনেমা। এটি তিনি ও তাঁর বাবার ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা ফ্লপ। এ সিনেমার বাজেট ১৪০ কোটি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তা পূরণ করতে পারবে না।

বিশ্লেষকদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি সরাসরি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘আচার্য’ মুক্তি দেওয়া হতো, তবে এমন লোকসান হতো না। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও বড় অঙ্কের অর্থ দিতে চেয়েছিল। তবে এ প্ল্যাটফর্মে সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২৭ মে। বাজে স্ক্রিপ্ট আর ন্যারেশনের কারণে নির্মাতা কোরতালা শিবা ট্রলের শিকার হচ্ছেন। দিনে সিনেমাটিকে ৫০ লাখ রুপি সংগ্রহ করতেও বেগ পেতে হচ্ছে।

স্ক্রিনশট

ইন্ডিয়ান বক্স অফিসের টুইটের বরাতে সেখানে আরও বলা হয়েছে, ‘আচার্য’ সিনেমায় লোকসান হয়েছে অন্তত ৯০ কোটি রুপি। এ জন্য পরিবেশকেরা ৫০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন।

এর আগে ‘বাহুবলি’ তারকা প্রভাসের ‘রাধেশ্যাম’ সিনেমায় লোকসান হয়েছিল ১২০ কোটি রুপি। সম্প্রতি এটিই সর্বোচ্চ লোকসান করা সিনেমা। ‘আচার্য’ দ্বিতীয় হতে চলেছে, অর্থের অঙ্কটা ৮০-৯০ কোটি রুপি। লোকসানের তালিকায় রয়েছে ‘বোম্বে ভেলভেট’, ‘জিরো’ ও ‘৮৩’।

অ্যাকশন-সোশ্যাল ড্রামা ‘আচার্য’ নির্মাণ করেছেন কোরাতালা শিবা। এতে চিরঞ্জীবী-রাম চরণ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পূজা হেজ ও সোনু সুদ।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, চলতি বছরের অন্যতম বহুল প্রতীক্ষিত ‘আচার্য’ সিনেমার বাজেট ১৪০ কোটি রুপি। এতে আরও অভিনয় করেছেন যিশু সেনগুপ্ত, পোসানি কৃষ্ণ মুরালি ও অজয়।

মাটিনি এন্টারটেইনমেন্ট ও কোনিডেলা প্রডাকশন কোম্পানির ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন নিরঞ্জন রেড্ডি ও রাম চরণ।