বাংলাদেশের সিনেমায় প্রথম, প্রচারণায় আরিফিন শুভর র্যাপ গান
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভর নায়কের পাশাপাশি গায়ক হিসেবেও নামডাক আছে। সিনেমার পাশাপাশি এককভাবেও গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তবে এবার প্রথম গাইলেন র্যাপ গান।
‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার প্রচারণার অংশ হিসেবে নায়ক নিজে ‘অ্যাকশন র্যাপ’ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। সিনেমার প্রচারণার জন্য এই ধরনের কাজ বাংলাদেশের সিনেমায় এটাই প্রথম।
গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সংগীত পরিচালক অদিত রহমান। কথা লিখেছেন ব্ল্যাক জ্যাং। সম্প্রতি এটির রেকর্ডিং হয়েছে ফ্যাটম্যান স্টুডিওতে। এডিশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছেন মার্ক ডন।
গানটি প্রসঙ্গে আরিফিন শুভ এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, ‘এর গানেও আমি গান করেছি। কিন্তু গান গাওয়া আর র্যাপ গাওয়া এক জিনিস না। এটা যাঁরা গান বোঝেন, তাঁরা ভালো করেই জানেন। এটা আমার জন্য একবারে নতুন একটা বিষয়, স্কুলিং নেই। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বাকিটা দর্শক বলবেন।’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই চিত্রনায়ক জানিয়েছেন এই র্যাপ গান ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় ব্যবহার করা করা হবে না। এটি সিনেমার প্রচারণার জন্য; যেমনটা দেশের বাইরের সিনেমার ক্ষেত্রে শুধু দেখা যেত এত দিন। খুব দ্রুতই গানটি দর্শক উপভোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন এই চিত্রনায়ক।
গানটি প্রসঙ্গে অদিত রহমান জানিয়েছেন, ‘শুভ দুর্দান্ত গেয়েছেন। অভিনয় দিয়ে পরিচিতি পেলেও গানটা যে সে হৃদয়ে ধারণ করে, এটি শুনলেই সবাই সেটা টের পাবেন।’
২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অগ্নি’ সিনেমার ‘সহে না যাতনা’ গানের মাধ্যমে গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন আরিফিন শুভ।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো বিশ্বের তিনটি মহাদেশে একই দিনে (৩ ডিসেম্বর) মুক্তি পেতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’। সিনেমাটি ঢাকার দর্শকদের সঙ্গে একই সময়ে নিউইয়র্ক, সিডনি এবং অকল্যান্ডের প্রেক্ষাগৃহেও প্রবাসীরা দেখতে পাবেন। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ছাড়া আরও ১১টি দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে।
পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমাটি সানী সানোয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন ফয়সাল আহমদ। সিনেমাটি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘সিটিটিসি’র কিছু শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত। গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পুলিশ কর্মকর্তা সানী সানোয়ার নিজেই। সিনেমাটির সহযোগী প্রযোজক হিসেবে রয়েছে মাইম মাল্টিমিডিয়া ও ঢাকা ডিটেকটিভ ক্লাব।