বিশেষ আদালতে আরিয়ানের জামিন শুনানি বুধবার
বিশেষ আদালতে মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খানের জামিন শুনানি হবে আগামী বুধবার (১৩ অক্টোবর)।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে নিশ্চিত করেছেন, বুধবার ভারতীয় সময় সকাল ১১টায় মুম্বাই সেশন কোর্টে জামিন শুনানি হবে। আরিয়ানের পক্ষে জামিন শুনানির আবেদন করেছেন আইনজীবী অমিত দেশাই।
একই মামলায় অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্ট, মোহক জসওয়ার, নূপুর সতিজা ও মুনমুন ধমেচারও জামিন শুনানি হবে বুধবার।
মাদক মামলায় ৮ অক্টোবর জামিন নামঞ্জুর করে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান ও ডিজাইনার গৌরী খানের ছেলে আরিয়ান খানসহ অভিযুক্তদের আর্থার রোডের জেলে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত। আর মুনমুন ধমেচাসহ অপর নারীকে পাঠানো হয় বাইকুল্লা নারী কারাগারে।
৮ অক্টোবর বিচারক আর এম নেরলিকার আরিয়ানসহ তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধমেচার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
দুই দফা রিমান্ড শেষে ৭ অক্টোবর আরিয়ান খানকে ১৪ দিনের জন্য বিচারিক হেফাজতে পাঠান মুম্বাইয়ের আদালত। সেদিনই অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে।
৬ অক্টোবর মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার আরিয়ান খানসহ অভিযুক্তদের মুঠোফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মুম্বাইয়ের গান্ধী নগরের একটি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) দাবি করে, আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ আলাপচারিতায় ‘অবাক করার মতো এবং অপরাধমূলক’ প্রমাণাদি পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সঙ্গেও সংযোগের অভিযোগ তাদের।
৪ অক্টোবর আরিয়ান খানকে ফের জামিন না দিয়ে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন আদালত।
মাদককাণ্ডে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জেরার পর ৩ অক্টোবর বিকেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার দেখায় এনসিবি। সেদিন সন্ধ্যায় মেডিকেল চেকআপের পর আদালতে তোলা হলে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাঁকে এক দিনের হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এনডিপিএসের ৮সি, ২০, ২৭ ও ৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে। ২৩ বছর বয়সী আরিয়ান খানের পক্ষে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন মুম্বাইয়ের অন্যতম শীর্ষ আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে।
মুম্বাইয়ের উপকূলে একটি প্রমোদতরীতে চলমান মাদক পার্টি থেকে ২ অক্টোবর রাতে আরিয়ান খানসহ মোট আট জনকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। যাত্রীর ছদ্মবেশে কর্ডেলিয়া নামে বিলাসবহুল ওই প্রমোদতরীতে চেপে বসেছিলেন এনসিবির গোয়েন্দারা।