বড় বোনের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন আশা ভোঁসলে
বড় বোন ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আশা ভোঁসলে। জানিয়েছেন লতা-আশার ভাইঝি বর্ষীয়ান অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলাপুরী।
৬ ফেব্রুয়ারি সকালে অসীমের পথে পা বাড়ান সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুর সময় লতা মঙ্গেশকরের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৪২ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে সংগীতে ক্যারিয়ার শুরু করেন লতা মঙ্গেশকর। ৭০ বছরের ক্যারিয়ারে ৩০ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কিংবদন্তি এ শিল্পী।
পিঙ্কভিলার বরাতে হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন ভারতসহ সংগীতাঙ্গন। শোকে কাতর তাঁর পরিবার, প্রিয়জনেরা। সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন সুরসম্রাজ্ঞীর ছোট বোন, কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আশা ভোঁসলে।
পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পদ্মিনী বলেন, ‘মৃত্যু যে চিরসত্য, সে কথা জানা সত্ত্বেও আমরা চাইতাম লতাজি আমাদের সঙ্গেই যেন সব সময় থাকেন। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতাম উনার কিছু হবে না। এটুকুই বলব, এই মুহূর্তে আমরা কেউই ভালো নেই।’
আশা ভোঁসলে কেমন আছেন? সেই প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন পদ্মিনী। তাঁর কথায়, ‘একদম ভালো নেই। একেবারে ভেঙে পড়েছেন।’
আশা ভোঁসলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিনেতা অনুপম খের। সেখানে হাসি-কান্না ভাগ করে নেন তিনি। সামাজিক পাতায় সেই অভিজ্ঞতা শেয়ারও করেছেন অনুপম।
৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যানুষ্ঠান হয়। শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে, বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান, রণবীর কাপুর, আশা ভোঁসলে, বিদ্যা বালান, আমির খান, শচীন টেন্ডুলকারসহ বিশিষ্টজনেরা।
১৯২৯ সালে ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেন লতা মঙ্গেশকর। তাঁর বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ও মা সেবন্তি মঙ্গেশকর। ভাইবোনদের মধ্যে লতা মঙ্গেশকর সবার বড়। তাঁর ভাইবোনেরা হচ্ছেন মীনা খাদিকার, আশা ভোঁসলে, ঊষা মঙ্গেশকর ও হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর।