শপথ অনুষ্ঠানে সবাই থাকলে খুশি হতাম : মিশা
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ আক্তারের প্যানেলের ১১ জন শপথ নিয়েছেন।
তবে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে জয়ী ১০ জনের কেউই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাননি। মিশা-জায়েদের প্যানেল থেকে জয়ী আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয় চৌধুরী বিএফডিসিতে শুট করলেও শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আজ রোববার বিকেল পৌনে ৬টায় বিএফডিসির মান্না ডিজিটাল স্টুডিয়োর সামনে শুরু হয়।
নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে শপথবাক্য পাঠ করান বিদায়ী সভাপতি মিশা সওদাগর। বাকিদের শপথবাক্য পাঠ করান নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। পরে মিশা সওদাগর সবাইকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
পরে মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমি জয়ীদের অভিনন্দন জানাই। যাঁরা জয়ী হতে পারেননি তাঁদের প্রতিও আমার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আমি বরাবরই বলে থাকি, শিল্পী সমিতির নির্বাচন একটি মালাবদলের পালা। শিল্পীরা যাঁকে রায় দেবেন, তাঁকেই মালা দিতে হবে। সবার কাছে আমি একটি অনুরোধ করব, আমরা যেন পেছনের দিকে না তাকাই। পেছনে কী ঘটে সেদিকে যেন না তাকাই। আগামীতে কীভাবে শিল্পী সমিতির সুন্দরভাবে গড়ে তুলব, একটা শিল্প গড়ে তুলব, সেই ব্যবস্থা করি।’
মিশা সওদাগর আরও বলেন, ‘আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব, তাঁকে অনুরোধ করব যে আপনি সবাইকে নিয়ে, টোটাল ২১ জনকে নিয়ে এমন কাজ করবেন, এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন, যেটা পূর্বে হয়নি। সবার মধ্যে যেন কোনও ব্যারিয়ার না থাকে। আমি বিশ্বাস করি, আপনি আলোকিত মানুষ। আপনার আলোয় আলোকিত হবে টোটাল ইন্ডাস্ট্রি। সেই জায়গা থেকে আপনার প্রতি আমার অনড় বিশ্বাস, আপনি সেটা পারবেন। আজকে যদি সবাই থাকত, আমি খুশি হতাম। সবাই যাতে থাকে, আপনি পরবর্তী স্টেপ নিয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখবেন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর। মিশা-জায়েদ প্যানেলের নির্বাচিতরা কেউ শপথ নেননি। নির্বাচিত ২১ জনের মধ্যে ১১ জন শপথ নিয়েছেন।
গতকাল জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। সদস্য পদপ্রার্থী চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল করে নাদির খানকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন তিনি।
এবারের বিজয়ীরা হলেন ইলিয়াস কাঞ্চন (সভাপতি), নিপুণ আক্তার (সাধারণ সম্পাদক), মাসুম পারভেজ রুবেল ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল (সহ-সভাপতি), সাইমন সাদিক (সহ-সাধারণ সম্পাদক), মামনুন ইমন (সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক), জয় চৌধুরী (আন্তর্জাতিক সম্পাদক), শাহনূর (সাংগঠনিক সম্পাদক), আরমান (দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক), আজাদ খান (কোষাধ্যক্ষ)।
কার্যনির্বাহী পরিষদে বিজয়ীরা হলেন অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, সুচরিতা, আলীরাজ, অরুণা বিশ্বাস, অমিত হাসান, ফেরদৌস, জেসমিন, কেয়া, মৌসুমী, নাদির খান।