শহীদ মিনার-বুয়েটে শ্রদ্ধা শেষে ইনামুল হকের দাফন বনানীতে
একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা, লেখক, শিক্ষক ড. ইনামুল হককে আজ বাদ জোহর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এর পর তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নেওয়া হয়েছে তাঁর মরদেহ। সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তাঁকে বনানীতে নেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার বিকেল আনুমানিক সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বাসভবনে ড. ইনামুল হকের মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বেইলি রোডের বাসায় তাঁর প্রথম জানাজা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিল্পকলা একাডেমিতে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেওয়া হয়। রাতে ফ্রিজার ভ্যানে মরদেহ বাসার কমপাউন্ডেই রাখা হয়।
ড. ইনামুল হকের জন্ম ফেনীর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রসায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। দীর্ঘকাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করার প্রয়াসে বিভিন্ন আন্দোলনমুখী নাটকে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে আইয়ুব খানের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তৎকালীন অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেন নাট্যচর্চাকে হাতিয়ার করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সৃজনীর ব্যানারে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ট্রাকে ট্রাকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে পথনাটক করেন।
ব্যক্তিজীবনে ড. ইনামুল হকের দাম্পত্য সঙ্গী বরেণ্য নাট্যজন লাকী ইনাম। তাঁদের সংসারে দুই মেয়ে হৃদি হক (স্বামী লিটু আনাম) ও প্রৈতি হক (স্বামী সাজু খাদেম)।
ড. ইনামুল হক ২০০২ সালে একুশে পদক এবং ২০১৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।