বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান এবং অন্য সাত জনকে ১৪ দিনের জন্য বিচারিক হেফাজতে পাঠিয়েছেন মুম্বাইয়ের আদালত। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

এর আগে আরিয়ান খানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)।

গতকাল বুধবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় একজন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হতে পারে এমন পরিমাণ মেফেড্রোন (এমডি) উদ্ধার করে এনসিবি। এ পর্যন্ত মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ছেলের জামিন শুনানিতে অংশ নিতে আদালতের উদ্দেশে রওনা হন আরিয়ানের বাবা শাহরুখ খান। ছেলের গ্রেপ্তারের পর এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেননি এ সুপারস্টার।

গতকাল মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার আরিয়ান খানসহ অভিযুক্তদের মুঠোফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মুম্বাইয়ের গান্ধী নগরের একটি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) দাবি করে, আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ আলাপচারিতায় ‘অবাক করার মতো এবং অপরাধমূলক’ প্রমাণাদি পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সঙ্গেও সংযোগের অভিযোগ তাদের।

গত ৪ অক্টোবর আরিয়ান খানকে ফের জামিন না দিয়ে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন আদালত। আজ সেই মেয়াদ শেষ হয়। ২৩ বছর বয়সী আরিয়ান খানের পক্ষে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন মুম্বাইয়ের অন্যতম শীর্ষ আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। আজ তিনি আরিয়ানের পক্ষে জামিন আবেদন করেন।

মাদককাণ্ডে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জেরার পর ৩ অক্টোবর বিকেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার দেখায় এনসিবি। সেদিন সন্ধ্যায় মেডিকেল চেকআপের পর আদালতে তোলা হলে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাঁকে এক দিনের হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

মুম্বাইয়ের উপকূলে একটি প্রমোদতরীতে চলমান মাদক পার্টি থেকে ২ অক্টোবর রাতে আরিয়ান খানসহ মোট আট জনকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। যাত্রীর ছদ্মবেশে কর্ডেলিয়া নামে বিলাসবহুল ওই প্রমোদতরীতে চেপে বসেছিলেন এনসিবির গোয়েন্দারা।