শাহরুখে ‘দিওয়ানা’ হওয়ার ৩০ বছর, স্বরূপে কিং খান
২৫ জুন ‘দিওয়ানা’র দিন, শাহরুখ খানের দিন। ডন, কিং খান, রোমান্সের রাজা, বলিউড বাদশাহ আজকের এত উপাধি যাঁর নামে, সেই শাহরুখ খান ১৯৯২ সালের আজকের দিনে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে পা রেখেছিলেন বলিউডে।
এমন দিনে ভক্তদের জন্য চমকানো উপহার দিয়েছেন খান সাহেব। প্রকাশ করেছেন ক্যারিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ বিরতির পর যে সিনেমা দিয়ে ফিরছেন সেই ‘পাঠান’ সিনেমার পোস্টার। অন্তর্জালে এরই মধ্যে সাড়া পড়েছে শাহরুখের চমকানো লুকে; এই সিনেমার মাধ্যমে কিং খান বড় পর্দায় ফিরছেন ১৪৯৬ দিন পর।
২০১৮ সালে ‘জিরো’ সিনেমা বক্স অফিসে চমক ব্যর্থ হলে স্বরূপে ফিরতে চার বছরের বিরতি নিচ্ছেন বলিউড বাদশাহ। বিরতি ভেঙে ২০২৩ সালে ফিরছেন শাহরুখ। শুধু ফিরছেন বললে ভুল হবে, আগামী বছর হতে যাচ্ছে কিং খানময়। বছরের শুরু জানুয়ারিতে মুক্তি পাবে শাহরুখের ‘পাঠান’, আর বছর শেষে ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে তাঁর ‘ডানকি’। সালের মাঝামাঝিটাও দখলে নিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন অ্যাকশনধর্মী ‘জওয়ান’ সিনেমার।
শাহরুখ খানের প্রধান চরিত্রে প্রথম কাজ ছিল লেখ ট্যান্ডনের টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘দিল দরিয়া’। ১৯৮৮ সালে ধারাবাহিকটির শুটিং শুরু হয়, কিন্তু নির্মাণ-বিলম্বের কারণে ১৯৮৮ সালে রাজকুমার কাপুর পরিচালিত ‘ফৌজি’ টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনেতা হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন। বলিউডে তাঁর অভিষেক হয় ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে। প্রথম সিনেমাতেই অর্জন করেন সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।
কর্মজীবনের শুরুর দিকে খল চরিত্রে ‘ডর’, ‘বাজিগর’ ও ‘আনজাম’ সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর তিনি বাণিজ্যিকভাবে অসংখ্য সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং খ্যাতি অর্জন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ (১৯৯৫), ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ (১৯৯৭), ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ (১৯৯৮), ‘মোহাব্বতেন’ (২০০০) ও ‘কাভি খুশি কাভি গম’ (২০০১)।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শাহরুখ খান ৩০টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন থেকে ১৪টি পুরস্কার এবং একটি বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি কোনও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন না করলেও ২০০৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মাননায় ভূষিত করে।
অভিনয়ের বাইরে শাহরুখ চলচ্চিত্র প্রযোজনা কোম্পানি রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট ও এর সহযোগী সংগঠনের সহ-চেয়ারম্যান এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের সহ-কর্ণধার। তাঁকে প্রায়ই টেলিভিশন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও স্টেজ শোতে পরিবেশনা করতে দেখা যায়। দেশি-বিদেশি একাধিক পণ্যের শুভেচ্ছাদূত তিনি।