সংক্ষুব্ধ কেউ আপিল না করলে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা পরশু
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে জিতেছেন বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে জিতেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। এ নিয়ে টানা তিন বার সাধারণ সম্পাদক পদে জিতলেন জায়েদ খান।
সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছেন ১৯১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে গণমাধ্যমকর্মী ও পদপ্রার্থীদের সামনে নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন। তিনি জানান, ভোট বাতিল হয়েছে ১০টি।
ফলাফল ঘোষণার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন বলেন, ‘শিডিউল অনুযায়ী আগামীকাল দিনটি হলো আপিল কমিটির কাছে আপিল করার। কোনও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপিল করতে পারবেন। তা না হলে আগামী পরশু দিন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এর পর একটি অভিষেকের আয়োজন করা হবে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হবে।’
টানা তৃতীয় বার জেতার পর সবাইকে নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য তথা শিল্পীদের জন্য কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। সেই সঙ্গে তাঁর আশা, এবারের প্রতিযোগী নিপুণ আক্তারকে সব সময় পাশে পাবেন।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের মাধ্যমে নিপুণ আক্তারের উদ্দেশে জায়েদ খান বলেন, ‘তাঁর জন্য শুভ কামনা। নারী অভিনেত্রী হিসেবে প্রথমেই সেক্রেটারি পদে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলব না প্রতিযোগিতা। তিনি প্রতিযোগিতা করেছেন, বিরোধী পক্ষ হয়েছেন বলেই তো নির্বাচন হয়েছে। তাঁর জন্য শুভ কামনা।’
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২৮ জন। তবে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। মোট ৮৫.২৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। অন্যদিকে, সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার অপর প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪৪ জন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।