সোমির বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে যা বলেছিলেন সালমান
টিনএজ ক্রাশ সালমান খানকে বিয়ে করার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ভারতের মুম্বাইয়ে যান পাক-মার্কিন সুন্দরী সোমি আলি। এক বছর পর সালমানের সঙ্গে তাঁর শুধু সাক্ষাৎই হয়নি, ধীরে প্রেমে জড়ান। মধ্য-নব্বইয়ে বি-টাউনে সালমান-সোমির প্রেম ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। কিন্তু সেই সম্পর্কের অবসান হয় ১৯৯৯ সালে। এর পর সোমি ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে। আজও তাঁদের প্রেম আলোচনায়।
১৯৯১ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবি দেখে সালমানের জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলেন সোমি আলি। এর পর ষোড়শী সোমি বাবা-মায়ের কাছে বায়না ধরেছিলেন তিনি সালমানকে বিয়ে করবেন। আর সব বাবা-মায়ের মতো তাঁর মা-বাবাও বিষয়টাকে গুরুত্ব দেননি। তাই পালিয়ে মুম্বাইয়ে যান সোমি।
ফ্রি প্রেস জার্নালের উদ্ধৃতি দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, এক সাক্ষাৎকারে সালমান খানের সঙ্গে পুরোনো প্রেমের গল্প বলেছেন সোমি আলি।
‘বুলন্দ’ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য নেপালে গিয়েছিলেন সালমান-সোমি। সে সময় সোমি জানিয়েছিলেন, তিনি সালমানকে বিয়ে করতে চান। যদিও সালমান জানান, আরেক জনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এর এক বছর পর শুরু তাঁদের প্রেমের গল্প।
সেই গল্প ভাগ করে সোমি আলি বলেন, ‘আমরা নেপাল যাচ্ছিলাম। আমি ওর পাশে বসে। আমি তখনই ওকে ওরই একটা ছবি দেখিয়ে বলি, আমি পাকিস্তান থেকে এখানে এসেছি শুধু তোমাকে বিয়ে করতে। ও বলেছিল, আমার প্রেমিকা আছে। আমি পালটা বলি, আমি কেয়ার করি না। আমি তখন টিনএজার ছিলাম। আমাদের সম্পর্ক শুরু হয় এক বছর পর, সে সময় আমার ১৭ বছর বয়স। ও-ই আমাকে প্রথম বলেছিল—আমি তোমাকে ভালোবাসি। খুব বেশি সময় লাগেনি, আমি বিশ্বাস করেছিলাম সে কথা।’
যা হোক, যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পর সোমি আলি পড়াশোনা শুরু করেন। কয়েক বছর পর একটি সংগঠন গড়ে তোলেন, নাম ‘নো মোর টিয়ার্স’। মানসিক ও শারীরিকভাবে নিগৃহীতদের সাহায্য করে সংগঠনটি। এক সাক্ষাৎকারে সোমি আলি বলেছিলেন, ঐশ্বরিয়া রাইয়ের কারণে সালমানের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছিল।