‘হাওয়া’র দাপট দেখালেন সুমন, অচেতন শরিফুল রাজ!
পূর্বাভাস আগে থেকেই দেওয়া ছিল, এপ্রিলের প্রথম সন্ধ্যায় অন্তর্জালে ‘হাওয়া’ বইবে। সেই হাওয়া যে বেশ জোরেশোরে বয়ে গেল সেটা ফেসবুকে ঢুঁ মরলেই বোঝা যাচ্ছে। হাওয়া যিনি দিলেন তিনি নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন। আর তাঁর এক হাওয়াতেই কাত চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ।
আর রাজকে সামাল দিচ্ছেন খ্যাতিমান অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু, মাহমুদ আলম এবং বাবলু বোস।
আপাত দৃষ্টিতে প্রথম দেখায় মনে হতে পারে শরিফুল রাজকে মারছে সবাই। কিন্ত না, দমকা হওয়ায় অচেতন নায়ক রাজ। এটিই গভীর সমুদ্রে চিত্রায়িত মেজবাউর রহমান সুমনের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘হাওয়া’র পোস্টার।
অতল সমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি ফিশিং ট্রলারে আটকে পড়া আটজন মাঝি মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনীকে ঘিরে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। নির্মাতার বরাতে জানা গেছে, হাওয়া চলচ্চিত্রটি মূলত একালের রূপকথা, বহুল প্রচলিত এই ফর্মটি সিনেমার পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা।
পোস্টার প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেজবাউর রহমান সুমন জানিয়েছেন, ‘ফিশিং ট্রলারে শরিফুল রাজের কী হয়েছে সেটা জানতে দর্শকদের অপেক্ষা করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সিনেমাটি মুক্তি পাবে; সেই প্রস্তুতি চলছে। প্রচারণায় দর্শক আগ্রহ জন্মালে সিনেমাটি দেখবে বলে আশা করছি। প্রথম সিনেমা হিসেবে আমার প্র্যতাশা অনেক থাকবে সেটা স্বাভাভিক।’
এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপে শরিফুল রাজ জানালেন, ‘২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে নভেম্বরে সিনেমাটির শুটিং হয় গভীর সমুদ্রে। সেখানকার গল্প বলা হয়েছে সিনেমায়; আমরা অভিনয় কেমন করছি সেটা দর্শক বলবেন। তবে এই গল্প দর্শকদের চমক জাগাবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি।’
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনী এবং সংলাপে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহিন ফারুক আমিন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান ও মেজবাউর রহমান সুমন নিজে। চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু, সম্পাদনা সজল অলক, আবহ সঙ্গীত রাশিদ শরীফ শোয়েব, এবং গানের সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী। প্রকাশিত পোস্টারটি ডিজাইন করেছেন সব্যসাচী মিস্ত্রী।
সিনেমাটির নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন এবং প্রযোজনা সংস্থা সান মিউজিক এন্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেডের সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই সেন্সরে জমা পড়তে যাচ্ছে।