১০ বছরে ‘এক্সট্রা’ থেকে নায়ক!
সিনেপর্দার ‘এক্সট্রা’ জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়ে আজ নায়ক বনে গেছেন; গল্পটা গতানুগতিক ঠিক সে রকম নয়। এই গল্পের নায়ক ‘এক্সট্রা’ হিসেবে কাজ শুরু করেছেন ঠিকই। কিন্তু নায়ক বনে যাওয়ার আগেই পত্রিকার পাতায় ছবি এসেছে, উঠেছেন শহরের বহু বিলবোর্ডে।
ওই স্বল্প বয়ানে গল্পটা যাঁরা ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি, তাঁদের জন্য সবার আগে গল্পের নায়কের নাম জানা জরুরি। তিনি রাজ মানিয়া; পুরো নাম আবদুল্লাহ আল মাহফুজ রাজ। নাম পরিবর্তনটাও গতানুগতিক গল্পের মতো নয়। মিডিয়ায় আসার প্রায় পাঁচ বছর আগে পরিবর্তন হয়েছে। নামের সঙ্গে মানিয়া শব্দ যুক্ত হয়েছে বন্ধুদের ফেসবুক গ্রুপ মানিয়া থেকে।
শুধু নামেই এখনও রাজ মানিয়াকে চেনার কথা নয়। তবে ছবি দেখে অনেকের যে চেনা চেনা লাগবে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। না, এই ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘ফ্লোর নম্বর ৭’ ওয়েব ফিল্ম যাঁরা দেখছেন, তাঁদের জন্য নয়। রাজ মানিয়ার মডেলিং ক্যারিয়ার ১০ বছরের। দেশের শীর্ষ সব প্রতিষ্ঠান তাঁকে মডেল করেছে।
মডেলিং ক্যারিয়ারের বাইরে মানিয়া এবারের ঈদে নায়ক হয়েছেন। এক্সট্রা থেকে নায়ক হওয়ার গল্পটা এখানে। শুরুটা টিভিসি দিয়ে, সেটাকে ক্যারিয়ার বলা যাবে না। কারণ, টিভিসির প্রধান দৃশ্য নয়, ব্যাকগ্রাউন্ড আর্টিস্ট বা এক্সট্রা হিসেবে কাজ করতেন রাজ মানিয়া। এই গল্প ২০১১ সালের।
এরপর মানিয়া মডেল হয়েছেন, প্রস্তাব পেয়েছেন বড় পর্দায়। চাইলে নায়ক বনে যেতে পারতেন। কিন্তু প্রস্তাব ফিরিয়ে নায়ক হতে রাজ সময় নিয়েছেন ১০ বছরের বেশি সময়।
এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে গল্পটা এভাবে বলছিলেন রাজ মানিয়া, ‘আমার যে মডেলিং ক্যারিয়ার, নায়ক হওয়া সম্ভব ছিল, প্রস্তাবও ছিল একাধিক। ভালো একটা টিমের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু ১০ বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করে আমি কিন্তু অডিশন দিয়েই নায়ক হয়েছি। ৪০ জন আর্টিস্টের মধ্যে নির্বাচিত হই। এত অপেক্ষার পর মেধা দেখিয়ে সুযোগ পাওয়ায় ভালো লেগেছে।’
রাজ মানিয়ার এত অপেক্ষার ফল মধুর হয়েছে। প্রথম কাজের পর প্রচুর সাড়া পাচ্ছেন, প্রস্তাব পাচ্ছেন নতুন কাজের। কিন্তু এখানেও অপেক্ষা তাঁর। পছন্দের মতো গল্প, চরিত্র আর পরিচালকের জন্য অপেক্ষা।