প্রয়াত আব্দুল্লাহ আল মামুনের শেষ ছবি মুক্তি পাচ্ছে কাল
আগামীকাল ২৯ মে মুক্তি পাচ্ছে ‘দুই বেয়াইয়ের কীর্তি’। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন প্রয়াত নাট্যকার ও চিত্রপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস ও পপি। মৌলিক গল্প নিয়ে নির্মিত এই ছবির গল্পে দেখা যাবে একটি পরিবারের গল্প। এই পরিবারে রয়েছে মা-বাবা ও তাঁদের সন্তান। আর এই সন্তানকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে ছবির গল্প। গল্পে আছে দাদা ও নানা। তাদের এক নাতিকে ঘিরে নানা মজার ঘটনা দেখা যাবে এতে। এই ছবিতে দেখা যাবে, ফাষ্টফুডের ব্যবসা করে নানা আর দাদা হলেন ডাক্তার। দুজনের মাঝে রীতিমতো যুদ্ধ নাতিকে নিয়ে। দাদা ডাক্তার তাই বেছে বেছে খাওয়াতে চান। আর নানা ফাস্টফুডের ব্যবসা করে তাই আদর করে নাতিকে সে বার্গার খাওয়ায়। অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে নাতির ডায়াবেটিস ধরা পড়ে।
এমনই একটি গল্প নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই ছবি। এই ছবির মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর আবারও বড় পর্দায় দেখা যাবে নায়িকা পপিকে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘চার অক্ষরের ভালোবাসা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন পপি।
ছবিটি প্রসঙ্গে নায়িকা পপি বলেন, ‘আমি মনে করি এই ছবি মা ও সন্তানের ছবি। মা ও সন্তানরা যদি ছবিটি দেখে তাহলে তাঁরা উপকৃত হবেন। বাবারা যেহেতু বাইরে কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাই আমি মনে করি মায়েদের ওপর দায়িত্বটা অনেক বেড়ে যায়। কারণ সন্তানরা বেশির ভাগ সময় মায়ের কাছে থাকে।’
অভিনেতা ও নির্মাতা আবদুল্লাহ আল মামুন ২০০৭ সালে ‘দুই বেয়াইয়ের কীর্তি’ ছবিটির শুটিং শুরু করেছিলেন। কিন্তু ছবির শুটিং শেষ করার আগেই ২০০৮ সালে মারা যান এই স্বনামখ্যাত নির্মাতা। ছবিতে দুই বেয়াইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ টি এম শামসুজ্জামান ও আবদুল্লাহ আল মামুন। আরো আছেন ফেরদৌসী মজুমদার, মীর সাব্বির, তুষার খান ও অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। সংগীত পরিচালনা করেছেন আলী আকবর রুপু। ছবিটি প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশি একজন শক্তিমান অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি পেশাগত জীবন শুরু করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে, পরবর্তীকালে পরিচালক, ফিল্ম ও ভিডিও ইউনিট (১৯৬৬-১৯৯১), মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমি (২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অসংখ্য জনপ্রিয় নাটক রচনা ও নির্দেশনা ছাড়াও তিনি পরিচালনা করেছেন চলচ্চিত্র। তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে সারেং বৌ, সখী তুমি কার, এখনই সময়, জোয়ারভাটা, শেষ বিকেলের মেয়ে, দরিয়া পারের দৌলতী ইত্যাদি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও প্রথম জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার পেয়েছেন। শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি ২০০০ সালে।