মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় মিস করতে চাই না : নাদিয়া
জনপ্রিয় তারকা দম্পতি এফ এস নাঈম ও নাদিয়া আহমেদ এনটিভির রান্না নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান রূপচাঁদা-দ্য ডেইলি স্টার সুপার শেফের একটি পর্বের অতিথি হয়েছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠানটির শুটিংয়ে অংশ নেন তাঁরা । কদিন পরই এনটিভির পর্দায় অনুষ্ঠানটি প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করার অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন নাদিয়া আহমেদ।
রূপচাঁদা-দ্য ডেইলি স্টার সুপার শেফের বিয়ের আয়োজন নিয়ে বিশেষ পর্বে আপনারা অতিথি হয়েছেন । কেমন লেগেছে?
নাদিয়া আহমেদ : খুব ভালো লেগেছে। প্রথমবারের মতো এ ধরনের অনুষ্ঠানের শুটিং করার অভিজ্ঞতা হলো। বিএফডিসিতে শুটিং করেছি। সেট ডিজাইন এক কথায় চমৎকার। আমার ঢোকার সময় বিয়ের সানাইয়ের সুর বাজানো হয়েছিল। মনে হয়েছিল সত্যি সত্যি বিয়ে বাড়ি। সেদিন প্রতিযোগীরা বিভিন্ন রিচ ফুড রান্না করেছিলেন। আসলে বিয়ে বাড়ির জন্য যেসব খাবার রান্না করা হয় ,তাই তাঁরা করেছিলেন। আমরা প্রথমবার শুটিংয়ে বিয়ের জন্য রান্না করা খাবার খেয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিযোগিরা রান্না করেছিলেন। আমি আর নাঈম খাবার খেতে খুব পছন্দ করি। আমরা অনেক মজা করে বিরিয়ানি ও পোলাও খেয়েছি। এ ছাড়া রান্না করা সব খাবারই একটু একটু করে খেয়ে দেখেছি। অনুষ্ঠানে বিচারকদেরও ভীষণ ভালো লেগেছে আমার।
টিভিতে কি আপনি রান্নার অনুষ্ঠান দেখেন?
নাদিয়া আহমেদ : হ্যাঁ, সময় পেলে আমি টিভিতে বিভিন্ন রান্নার অনুষ্ঠান দেখি। আমি নিজেও রান্না করতে অনেক পছন্দ করি।
আপনার ব্যস্ততা এখন কী নিয়ে?
নাদিয়া আহমেদ : আমার অভিনীত বেশ কিছু ধারাবাহিক নাটক এখন বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে। সেসব নাটকের শুটিং এখন করছি। পুরো মাস আমি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করি। এজন্য একক নাটকে খুব কম অভিনয় করার সময় পাই। কারণ ধারাবাহিক নাটকগুলোর জন্য শুটিং ডেট অনেক আগেই দেওয়া হয়। সেখান থেকে একক নাটকের জন্য ডেট বের করা আমার জন্য খুব কঠিন হয়।
একক নাটকের প্রতি আপনার অনাগ্রহ নেই তো?
নাদিয়া আহমেদ : একদম নেই। আসলে আমি একক নাটকে বেশি অভিনয় করতে চাই। কারণ কম সময়ে নাটকের শুটিং শেষ করা যায়। দর্শক একক নাটক দেখতেও বেশি পছন্দ করেন।
কিছুদিন আগে তো আপনি জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমের সঙ্গে একটি নাটকে অভিনয় করেছেন। নাটকটি করতে কেমন লাগল?
নাদিয়া আহমেদ : মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে গত কোরবানির ঈদে একটি নাটকে অভিনয় করেছিলাম। অনেকদিন পর আবার তাঁর সঙ্গে কাজ করলাম। নাটকটির শুটিংয়ের তারিখ এক মাস আগে আমি দিয়ে রেখেছিলাম। আসলে আমি মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় মিস করতে চাই না । নাটকটির নাম এখন আমি মনে করতে পারছি না। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে আমার বরাবরই অনেক ভালো লাগে। তিনি খুব নিষ্ঠাবান একজন অভিনেতা। যেকোনো নাটকের চিত্রনাট্যে তিনি অনেক কিছু নিজে থেকে যোগ করেন। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সম্প্রতি নাঈমের সঙ্গে ‘শ্রেয়ার শেষ ঠিকানা’ নামের একটি একক নাটকের শুটিংও শেষ করেছি।
নতুন বছরের শুরুতেই থাইল্যান্ড থেকে ঘুরে এলেন। এটা কি আপনাদের হানিমুন ছিল?
নাদিয়া আহমেদ : এর আগেও আমরা দুজন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রে আমার পরিবারের সবাই থাকে। তাদের সবার সঙ্গে সময় কাটিয়ে এসেছি। তবে এবারই প্রথম শুধু দুজন দেশের বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। অনেক মজা করেছি। এটা হানিমুন কি না বলতে পারব না।