গুরু তোমায় মনে পড়ে
‘একদিন তো চলে যাবো দুঃখ পেয়ো না, হাসি মুখে থেকো যেন কেঁদো না,
স্মৃতিগুলো খুঁজে নিতে ভুল করো না, অন্তরে গেঁথে রেখো ছিঁড়ে ফেলো না,
একদিন তো চলে যাবো দুঃখ পেয়ো না, হাসিমুখে থেকো যেন কেঁদো না...’
বিখ্যাত এই গানটির শিল্পী আজম খান। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে পপ সংগীতের নবসূচনা করেছিলেন তিনি। উত্তরসূরিদের কাছে তিনি পরিচিত ‘গুরু’ নামে। স্বাধীনতা আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয় গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। খুব সাধারণ এই মানুষটি সারা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন সংগীতের জন্য। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে ভাবেননি, কাজ করে গেছেন নিজের মতো।
২০১১ সালের আজকের এই দিনে না-ফেরার দেশে চলে যান আজম খান। পেছনে রেখে গেছেন মায়া-ভালোবাসায় সিক্ত অসংখ্য গান। তাঁর চলে যাওয়া এখনো মেনে নিতে পারেননি অগণিত ভক্ত, তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়স্বজন।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় পপ সম্রাটের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে গিয়ে তাঁর কবর জিয়ারত করে দোয়া করেন। আজ বিকেলেও পারিবারিকভাবে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন তাঁরা।
আজম খানের বড় ভাই বরেণ্য সুরকার আলম খান বলেন, ‘আমি বেশ কিছুদিন ধরে একটু অসুস্থ। সকালে কবরস্থানে যেতে পারিনি। বড় আয়োজন করে সবাইকে খাওয়ানোর মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। বিকেলে গরিবদের আমরা খাওয়াব। এ ছাড়া তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা চাই, আজমের আত্মা শান্তিতে থাকুক।’
আজম খানের বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘কেন মন কাঁদে রে’, ‘জীবনে কিছু পাব নারে’, ‘জীবনে মরণ কেন আসে’, ‘হায়রে হায় বাংলাদেশ’ সহ আরো অনেক গান। এসব গান তাঁকে আরো অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখবে শ্রোতার মধ্যে।