৪০টি গান লিখে রেখেছি : আদিত্য রয় কাপুর
আদিত্য রয় কাপুর বলিউডের জনপ্রিয় একজন অভিনেতা। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা বেশি। অভিনয় করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় কিছু চলচ্চিত্রে। এর মধ্যে ‘আশিকি টু’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি রাতারাতি তারকা বনে গেছেন। তার পর থেকে আদিত্যকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এগিয়ে চলেছেন দৃপ্ত পায়ে। সম্প্রতি ফিল্মফেয়ারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অভিনয়ের বাইরে নিজের আগ্রহ, ক্যারিয়ার এবং পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সাবলীলভাবে।
আপনার আর কিসে আগ্রহ আছে?
আদিত্য রয় কাপুর : আমার কোনো পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নেই। আমি অ্যাকশন ছবি ভালোবাসতাম। আমি সংগীত অন্বেষণ করতে চাই। গান লিখেছি। গিটার বাজাই। সত্যি বলতে, আমি অলস। আমি আমার সংগীতকে একত্র করতে চাই। ভালো কিছু ঘটতে পারে, যদি আমি মন দিতে পারি। গান এমন কিছু, যা আমার কাছে সব সময় প্রিয়।
আপনি কি অ্যালবাম বের করতে চান?
আদিত্য রয় কাপুর : অবশ্যই! আমি ৪০টি গান লিখে একত্র করে রেখেছি। আমার ৫০টি ভয়েস রেকর্ডিং আছে। সেগুলো প্রতিটি ইংরেজি গান। আমি আশা করি, মানুষ কোনো একদিন উপভোগ করতে পারবে। আমি ভারতের বাইরে কাজ করতে পছন্দ করি। পাশ্চাত্যে অনেক সুযোগ রয়েছে। সেখানে টেলিভিশন কনটেন্ট অসাধারণ। অনেক বৈচিত্র্যময় কনসেপ্ট পরীক্ষা করতে পারবেন। মিশ্র সংস্কৃতির প্রচুর শো রয়েছে। লাতিন আমেরিকা বিভিন্ন জাতীয়তাবাদকে স্বাগত জানায়। দেখুন,ম দীপিকা পাড়ুকোন ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া কীভাবে ভালো করেছে!
আপনি বলেছেন, আপনার মা শালোমি রয় কাপুরের কাছ থেকে নাচ শিখেছেন…
আদিত্য রয় কাপুর : (হাসি) হ্যাঁ। আমার নানি লাতিন আমেরিকার নাচের অগ্রদূত ছিলেন। তাঁরা প্রথমে ভারতে নাচের আকৃতি আনেন। তাঁরা সমগ্র জীবন শিক্ষা দিয়েছিলেন। আমার মা সঞ্চালন করেছিলেন এবং পশ্চিমা আর ভারতীয় নৃত্যশাস্ত্রের শিক্ষা প্রদান করেছিলেন। আমার ভাইসহ অর্ধেক মুম্বাই তাঁর কাছ থেকে শিখেছে। এমনকি তারা স্বর্ণপদক এবং সনদ পেয়েছে। আমি ছিলাম এমন এক বোকা যে তাঁর ক্লাসে উপস্থিত থাকতাম স্রেফ মেয়েদের জন্য।
আপনার মা-বাবার সঙ্গে বোঝাপড়া কেমন?
আদিত্য রয় কাপুর : আমি তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। বয়সে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি তাঁদের কাছাকাছি পেয়েছি। আমি তাঁদের ওপর ভরসা করি এবং এতে কোনো সংশয় নেই।