আসছে ‘চিনি বিবি’
গ্রামের নাম ছনকান্দা। এই গ্রামের প্রভাবশালী মোতালেব মিয়ার একমাত্র ছেলে লাল মিয়া। অপরদিকে লছমনপুর গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি ময়ছয় মণ্ডল। মণ্ডলের একমাত্র মেয়ে চিনি। দুরন্ত উৎফুল্ল, চপলা-চঞ্চলা ষোড়শী কন্যা চিনি একদিন ভাবি ও দাদিকে বোকা বানিয়ে বান্ধবীদের সাথে নিয়ে নদীতে গোসল করতে যায়। ফেরার পথে চিনির চোখে চোখে ভাব বিনিময় হয় মানিকের সাথে। মানিকের চোখেও চিনির রেশ লেগে রয়। কিন্তু সমস্যা হলো চিনি শুধু মানিকের চোখে নয়, লালের চোখেও পড়ে। লাল চিনিকে দেখেই তাঁকে বিয়ে করার জন্য ঘটক পাঠানোর মনস্থির করে। ঘটক উঠানে বসে লাঠিতে তেল মালিশ করতে থাকে। লাল এসে ঘটককে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর কথা বলে চলে যায়। ঘটক মণ্ডলের কাছে চিনির সাথে লালের বিয়ের প্রস্তাব দিলে মণ্ডল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চিনির জন্য ভালো পাত্র খুঁজতে বলে। কিন্তু চিনির তো ভালো লেগেছিল মানিককে। তাহলে? চিনির প্রেম ও পরিনয় নিয়েই আবহমান বাংলার এক গল্প উঠে এসেছে এই চলচ্চিত্রে।
এতক্ষণ কথা হচ্ছিল মুক্তির অপেক্ষায় থাকা নজরুল ইসলাম বাবু পরিচালিত ‘চিনি বিবি’ নিয়ে। এতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অমিত হাসান, মিষ্টি জান্নাত ও জয় চৌধুরী। মৌলিক গল্প নিয়ে বড় ক্যানভাসের এই ছবিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। ওয়াদুদ রঙ্গিলার লেখা কাহিনীর ওপর ভিত্তি করেই নির্মিত হয়েছে এই ছবি ‘চিনি বিবি’।
এই চলচ্চিত্রে আরো অভিনয় করেছেন আলীরাজ, আনোয়ারা, আবদুল্লাহ সাকি, ওয়াদুদ রঙ্গিলা, ববিসহ দেড় শতাধিক শিল্পী। ছবিতে ১০টি গানে বাংলাদেশের ১১ জন স্বনামধন্য সংগীতশিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন। তাঁরা হলেন এন্ড্রু কিশোর, সাবিনা ইয়াসমিন, মনির খান, কনকচাঁপা, রাজীব, বেবি নাজনীন, আগুন, মমতাজ, ইতি, রিয়াদ ও ওয়াদুদ রঙ্গিলা।
চলচ্চিত্রটির আবহ সংগীত করেছেন ইমন সাহা, যন্ত্রসংগীত করেছেন আলমগীর, গীতিকার ও সুরকার ওয়াদুদ রঙ্গিলা।