প্রধানমন্ত্রীকে ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ দেখার অনুরোধ
প্রথম চলচ্চিত্র ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ নির্মাণ করে সবাইকে অবাক করে দিয়ে অর্জন করেছেন ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ মোট আটটি শাখায় জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে ছবিটি। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হওয়ার পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ নির্মাতার পুরস্কার জিতেছেন নির্মাতা। সে সঙ্গে শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার মাসুম রেজা, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার যৌথভাবে মাসুম রেজা ও রিয়াজুল রিজু, শ্রেষ্ঠ সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী এসআই টুটুল, শ্রেষ্ঠ গীতিকার আমিরুল ইসলাম ও শ্রেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে মেহেদী রনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স্বীকৃতি লাভ করেছেন। এর মাধ্যমে রিজু বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের স্বীকৃতি পেলেন।
গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিয়াজুল রিজুর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিছু সময় কথা হয় তাঁর। কী কথা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে? এমন প্রশ্নের উত্তরে রিয়াজুল রিজু স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তুমি তো অল্প বয়সে একাই সব পুরস্কার নিয়ে গেলে! আমি তখন প্রধানমন্ত্রীকে ছবিটি দেখার জন্য অনুরোধ করি। প্রধানমন্ত্রী ছবিটি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।’
আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার হাতে পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তরুণ এই নির্মাতা আরো বলেন, ‘আমি যখন পুরস্কারটি নিতে স্টেজে উঠি, তখন খুবই নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। বড় কোনো পুরস্কার হাতে নেওয়ার ক্ষেত্রে এমনটি হয়ে থাকে। তবে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার পাওয়া মানে জীবনের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা। এই পুরস্কার আমাকে আরো ভালো ছবি নির্মাণের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিল। আমি ভালো ছবি নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত রাখব। ’
মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সামাজিক অবস্থায় যমুনার পাড়ের ‘চর ভাগিনা’র পরিপ্রেক্ষিত তুলে ধরা হয়েছে ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ চলচ্চিত্রে। ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শতাব্দী ওয়াদুদ, সানজিদা তন্ময়সহ আরো অনেকে।