আবারও আসছে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী
শাকিব খান আর জয়া আহসানের রসায়ন আবারও দেখা যাবে বড় পর্দায়। প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ছবিতেই তাঁরা ভাগাভাগি করে নেন বড় পর্দা। এবার আসছে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনীর সিক্যুয়াল। আগেরটার মতো এবারের ছবিটিও পরিচালনা করছেন সাফি উদ্দিন সাফি।
ঢালিউডে বর্তমানের ব্যস্ত নির্মাতা সাফি উদ্দিন সাফি ঢাকার কিং, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী, ভালোবাসা এক্সপ্রেস, ফাঁদ দ্য ট্র্যাপ, হানিমুনের মতো জনপ্রিয় ছবি পরিচালনা করেছেন। একইসাথে নির্মাতা ইকবালের সাথে তার যৌথ পরিচালনায় গাদ্দারী, তোমার জন্য মরতে পারি, প্রেম মানে না বাধা, মেশিনম্যান, বড় ভাই জিন্দাবাদ- এই ছবিগুলোও ব্যবসাসফল হয়েছে।
তাঁর নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ছবিটি ব্যবসাসফল হওয়ার পর তিনি শুরু করেছেন এর সিক্যুয়াল ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী-২’ নির্মাণের কাজ। এই নতুন কাজ নিয়ে পরিচালক আলাপ করেছেন এনটিভি অনলাইনের সাথে।
প্রশ্ন : প্রতিটা সিনেমা তৈরির পেছনেই কোনো না কোনো গল্প থাকে। তা ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ২’-এর পেছনের গল্পটা কী?
উত্তর : পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী যখন সুপার ডুপার হিট তখনই চিন্তা করলাম যে এটার একটা সিক্যুয়াল বানাব। গল্প খোঁজার আগে আমার একটা চিন্তা ছিল। আমি চাচ্ছিলাম শাকিবকে দিয়ে এমন একটা চরিত্র করাতে হবে যা সে আগে কখনো করেনি। তো তাকে বল্লাম সে কথা।
প্রশ্ন : শাকিবকে বলার পর উনি কী বললেন?
উত্তর : সেখানেই তো মজা। শাকিবকে বললাম এই কথা। সেও অনেক চিন্তা-ভাবনা করল, কিন্তু খুঁজে পেল না কিছুই। আমিও খুঁজি শাকিবও খোঁজে, কিন্তু চরিত্র আর খুঁজে পাওয়া যায় না!
প্রশ্ন : শেষ পর্যন্ত কি কিছু খুঁজে পেয়েছেন?
উত্তর : সেটাই এক মজার কথা। একদিন শাকিবের একটা ছবি দেখলাম বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পোশাক পরা। আমি ছবিটা শাকিবকে দেখিয়ে জানতে চাইলাম, এটা কি কোনো চলচ্চিত্রের দৃশ্য? সে বলল, এটা তো কোনো ছবির নয়, এমনিতেই তোলা হয়েছিল। তখনই চিন্তা করলাম, যে ক্রিকেট খেলার গল্প নিয়েই ছবি বানাবো। ব্যস, তারপর তো সব হয়েই গেল!
প্রশ্ন : ছবির কলাকুশলীদের নিয়ে কিছু বলুন।
উত্তর : শাকিব খানের যেহেতু একেবারেই নতুন একটি চরিত্র এখানে আছে- তাই সেটাকে ভিত্তি করেই গল্প বলার চেষ্টা করেছি। পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ছবিতে জয়া আহসানকে দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। এই ছবিতেও সে আছে, অভিনয় করেছে একজন মডেলের ভূমিকায়। এ ছাড়া আছে নায়ক ইমন, সে সব সময় ভালো করে। এবারও ভালো করবে। নতুন হলেও মৌসুমী হামিদ ভালো অভিনয় করেছে। ওমর সানীও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছে।
প্রশ্ন : কী পরিমাণ কাজ বাকি?
উত্তর : আমাদের গল্পের কাজ প্রায় শেষ। শুধু স্টেডিয়ামের একটা সিকোয়েন্স আছে, চলতি মাসেই শুটিং করার কথা রয়েছে। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে গানের শুটিং করার কথা ছিল, দেশের পরিস্থিতির কারণে করতে পারছি না। খুব তাড়াতাড়ি শুটিং শুরু করতে চাই। গান ছাড়া ছবির ৮০ ভাগ কাজ শেষ, তবে এই ফাঁকে আমরা সম্পাদনার কাজ এগিয়ে রাখছি।
প্রশ্ন : কবে মুক্তি পাবে?
উত্তর : বড় বাজেটের ছবি করতে গেলে দুই ঈদ ছাড়া মুক্তি দিলে টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আর আমার এই ছবি বড় বাজেটের। এ জন্য আগামী রোজার ঈদকে লক্ষ্য রেখেই ছবিটি তৈরি করছি। আগামী রোজার ঈদে দর্শকদের সামনে শাকিবের এই নতুন রূপ উপহার দিতে চাই।
প্রশ্ন : প্রত্যাশা কী?
উত্তর : দেশের অবস্থা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে। আমরা স্বাধীন মনে যার যার কাজ ঠিকভাবে করতে পারব। সব ঠিক থাকলে ঈদের উপহারটি ঈদেই দিতে চাই।