এবার জাতীয় সংগীত গেয়েছেন অমিতাভ
যেখানেই যান, সেখানেই ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে। অমিতাভ বচ্চন বলে কথা! তবে কলকাতায় গিয়ে এবারে তাঁর অভিজ্ঞতা হলো ভিন্ন রকম। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে তিনি পেয়েছেন কোলাহলমুক্ত শান্ত পরিবেশ। এই পরিবেশ অমিতাভ বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করেছেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের আদিনিবাসে অমিতাভের এই আগমন ‘শমিতাভ’ চলচ্চিত্রের জন্য।
অমিতাভ ঠাকুরবাড়ি গিয়েছিলেন শনিবার সকালে (২৪ জানুয়ারি)। সেখানে তাঁর অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির কথা জানালেন দিনশেষে, ‘চারদিক সুনসান, নিস্তব্ধ আর মনোমুগ্ধকর। আমি যেন গুরুদেবের উপস্থিতি অনুভব করতে পারছিলাম।’
ঠাকুরবাড়িকে স্থাপত্যকলার এক অনন্য নিদর্শন এবং ঐতিহাসিক স্থান উল্লেখ করে অমিতাভ বলেন, ‘এই বাড়ি ইতিহাস আর সংস্কৃতিতে মোড়ানো। প্রতিটি ঘরে চিত্তাকর্ষক সব স্মৃতি—নোবেল পুরস্কার থেকে শুরু করে প্রবাসজীবনে গুরুদেবের ব্যক্তিগত সংগ্রহের বিভিন্ন দ্রব্য, আরো কত কী! জীবনের এক ভাগে তাঁর আঁকা ছবিগুলো ছিল আরো কৌতূহলোদ্দীপক। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা। আজ রাতের অনেকটা সময় এগুলো নিয়ে আমার ব্লগে লেখালেখি করব।’
‘শমিতাভ’ চলচ্চিত্রের জন্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান এবং আদিনিবাস কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতেও শুটিং করবেন অমিতাভ বচ্চন। এ ছবিতে অমিতাভ কণ্ঠ দিচ্ছেন কবিগুরুর লেখা জাতীয় সংগীতে, তার চিত্রায়ণের কাজেই ঠাকুরবাড়ি যাওয়া। এর দিনতিনেক আগে, মুম্বাইয়ে সংগীত পরিচালক আদেশ শ্রীবাস্তবের স্টুডিওতে এই গানের রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। ঠাকুরবাড়িতে এই গানের এক মিনিট ৩৮ সেকেন্ড লম্বা একটি সিকোয়েন্স শুট করা হবে।
জাতীয় সংগীতের সিকোয়েন্স শুটিং ঠাকুরবাড়িতে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ‘পিকু’ ছবির পরিচালক সুজিত সরকার। এ জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান অমিতাভ। অবশ্য ‘শমিতাভ’ ছবির পরিচালক আর বালকির অবশ্য এই অংশ নির্মাণের জন্য চিন্তায় ছিল শান্তিনিকেতনের কথা। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে অমিতাভ অভিনীত ‘শমিতাভ’।
নিজের এই গান গাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অবশ্য খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখাননি অমিতাভ। তিনি বলেন, ‘আমি গায়ক নই। সবার চাপাচাপিতে গান গাই। আজকাল এমন সব যন্ত্রপাতি এসেছে, যেগুলো আপনার কণ্ঠস্বরকে ঠিকঠাক তাল এনে দেবে আর পুরো জিনিসটাকে (গান) শ্রুতিমধুর করে ফেলবে।’
উল্লেখ্য, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনো গানে অমিতাভের কণ্ঠদান এবারই প্রথম নয়। এর আগে তিনি সুজয় ঘোষের পর্দাকাঁপানো ছবি ‘কাহানি’-তে ‘একলা চলো রে’ গানটি গেয়েছিলেন, যা বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।