হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হচ্ছেন রাহুল আনন্দ
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালাকে কে না চেনেন? কল্পকাহিনীর এই বাঁশিওয়ালা শহর থেকে ইঁদুর তাড়িয়ে ছিলেন। তাঁর বাঁশির সুরে পুরো শহরের মানুষ ছিল মুগ্ধ। এবার ঢাকা শহরেও আবির্ভাব ঘটবে এক হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার। ভাবছেন সে আবার কে? তিনি এরই মধ্যে নিজের পরিচিতি গড়ে নিয়েছেন, কথা হচ্ছে জলের গানের রাহুল আনন্দকে নিয়ে। রাহুল ভালো বাঁশি বাজান, দর্শক-শ্রোতারাও মুগ্ধ হন সেই বংশিবাদন শুনে। সে জন্যই কি হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হচ্ছেন রাহুল? উত্তরটা দিচ্ছি এখনই।
সাজ্জাদ সুমনের পরিচালনায় ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’ নাটকে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে রাহুলকে। নাটকটি রচনা করেছেন আহমেদ তাওর্কীর। ভিন্নরকম গল্পের এই নাটকটির শুটিং আগামী মাসের ৫ তারিখ করবেন বলে জানান পরিচালক সাজ্জাদ সুমন। এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন পর ভালো একটি গল্পের নাটক নির্মাণ করতে যাচ্ছি। নাটকটি নিয়ে আমি অনেক উচ্ছ্বসিত। তিন বছর আগে নাটকটির গল্প আমি নির্বাচন করেছিলাম। কিন্তু অনেক দেরিতে নাটকের চিত্রনাট্য হাতে পেয়েছি। গত ঈদে কাজটি করার কথা থাকলেও ব্যস্ততার কারণে আর করতে পারিনি। ঈদে এবার নাটকটি চ্যানেল আইতে প্রচারিত হবে।’
‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে, এক যুবক ঢাকা শহরে এসেছেন। এসে দেখতে পান রাস্তায় অনেক মারামারি। এই দৃশ্য দেখে তিনি বাঁশি বাজাতে শুরু করেন। তাঁর বাঁশির সুর শুনে মারামারি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাঁর বাঁশির সুরে শহরের অপহরণকারী, পকেটমার সবাই ভালো হয়ে যান। একটা সময় ভুয়া ডাক্তার, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীসহ সমাজের খারাপ লোকদের বাঁশি শুনিয়ে দূরে নিয়ে যান শহরের সেই বাঁশিওয়ালা যুবক। মোট কথা, শহরকে বিশুদ্ধ করতে চান এই নতুন বাঁশিওয়ালা। আর নাটকে এই বাঁশিওয়ালার চরিতে অভিনয় করবেন রাহুল আনন্দ। নাটকের চিত্রনাট্য পড়ার পর চরিত্রটি খুব পছন্দ হয়েছে বলে জানান তিনি। রাহুল বলেন, এটা তাঁর স্বপ্নের একটি চরিত্র। নাটকটিতে রাহুল আনন্দের বিপরীতে কাজ করবেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।