ফ্লার্ট করতে পছন্দ করি : নুসরাত ফারিয়া
এ সময়ের চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া তাঁর প্রথম ছবি ‘আশিকী’ দিয়েই অনেক ভক্তের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। আজ আমরা জানব, নুসরাত ফারিয়ার জীবনে সর্বশেষ ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা।
শেষ চমক
আমার চমকে যাওয়ার অনেক ঘটনা আছে। আমার পরিবারের সবাই আমাকে চমকে দিতে অনেক ভালোবাসেন। আর আমার ফ্যানপেজে যাঁরা আছেন, তাঁরা তো প্রতিনিয়ত আমাকে চমকে দেন। কিছুদিন আগে আমার একজন ফ্যান আমার সঙ্গে বাসায় দেখা করতে এসেছিল। মেয়েটি অনেক ছোট। ক্লাস টুতে পড়ে সে। আমার বাসা সে ১১ দিন ধরে খুঁজেছিল। এর পর সে যখন আমার বাসায় আসে, তখন তাকে দেখে তো আমি অবাক! কারণ, সে তার টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে আমার জন্য চকলেট কিনে নিয়ে এসেছিল। সত্যি, এই ঘটনায় আমি চমকে গিয়েছিলাম।
শেষ ফ্লার্ট
আমি আসলে নিজেই ফ্লার্ট করতে পছন্দ করি। হা হা...। কেউ যদি আমার সঙ্গে ফ্লার্ট করে আমি মজা পাই ঠিকই, কিন্তু আমার ফ্লার্ট করতেই বেশি ভালো লাগে। অনেকে ফ্লার্ট আমার সঙ্গে করতে চায়। এর মধ্যে শেষ ফ্লার্টের কথা যদি বলি, তাহলে আমার ভক্তরাই করেছে। একটা কথা আমি বলতে চাই, আমি আমার ভক্তদের অনেক ভালোবাসি। কারণ, আমি কোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে আসিনি। শুধু আমার ভক্ত ও ফলোয়ারদের ধাক্কায় আমি এতদূরে এসেছি। এমনও হয়েছে, আমার হাতে সময় না থাকলেও আমি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ভক্তদের অটোগ্রাফ দিয়েছি। ‘আই লাভ মাই ফ্যান অ্যান্ড ফলোয়ার’। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
শেষ দামি উপহার
আমাকে অনেক আগেই একজন ডায়মন্ডের রিং উপহার দিয়েছিলেন। আপনি খেয়াল করে দেখবেন, এই রিং আমার হাতে রয়েছে। আমি অনেক উপহার পেয়েছি বা পাচ্ছি, কিন্তু এই উপহারটাই আমার কাছে শেষ দামি উপহার মনে হয়। উপহারটা কে দিয়েছিল, সেটা এখন বলতে চাই না।
শেষ অভিমান
আমার বড় বোন মারিয়া আপুর সঙ্গে। কারণ, আপু সব সালোয়ার-কামিজ তাঁর মাপে বানায়, যা আমি চাইলেও কখনো পরতে পারি না। এর কারণ, আপু একটু মোটা আর আমি পাতলা। তাই আপুর প্রতি আমার অভিমানের পাহাড় জমেছে।
শেষ বিদেশ সফর
আমি বারবার কলকাতা-বাংলাদেশ যাতায়াত করছি। আর এর বাইরে ১৫ দিন আগে আমি ব্যাংককে গিয়েছিলাম।
শেষ আনন্দ
গত পরশু দিন আমি আর্মি স্টেডিয়ামে ফোক ফেস্টিভ্যাল দেখতে গিয়েছিলাম। আমি একজন বাংলাদেশি হয়ে সত্যি অনেক গর্ববোধ করি। আমাদের নিজেদের গান শুনতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। অনুষ্ঠানে মমতাজ আপুর গান শুনে তো একপর্যায়ে আমি অনেক আবেগী হয়ে গিয়েছিলাম। তার পর মমতাজ আপুকে ব্যাকস্টেজে পেয়ে আমি বলেছিলাম, ‘আপু, আপনি যখন গান করছিলেন, তখন আমার খুব নাচতে ইচ্ছে করছিল।’ তখন তিনি বলেছিলেন, তুমি ও কনা নাচলে আমার ভালোই লাগত। আমার সঙ্গে তখন সংগীতশিল্পী কনা আপুও ছিলেন।
শেষ ভয়
আমি আসলে সব সময় একা একা থাকতে ভয় পাই। সব সময় আমার সঙ্গে দু-একজন থাকতেই হবে। তা না হলে আমি বাইরে বের হতে পারি না।
শেষ গোলাপ পাওয়া
শেষ গোলাপ কবে পেয়েছি, কার কাছ থেকে পেয়েছি, সেটা আপাতত আমি গোপন রাখতে চাই।
শেষ মারামারি
আমার ভাইবোনদের সঙ্গে করেছি।