পরীমনির ‘নগর মাস্তান’কে সেন্সর বোর্ডের ‘না’
বর্তমান সময়ের আলোচিত নায়িকা পরীমনি অভিনীত ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবিটি গত শুক্রবার মুক্তি পেলেও তাঁর অভিনীত, রকিবুল আলম রাকিব পরিচালিত ‘নগর মাস্তান’ ছবিটি আটকা পড়েছে সেন্সর বোর্ডে। কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে কিছু গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করছে, অশ্লীলতার কারণে ছবিটিকে আটকে দিয়েছে সেন্সর বোর্ড। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছবির প্রযোজক মোহম্মদ সফিকুল ইসলাম।
প্রযোজক বলেন, “তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে কেন আমাদের ছবি প্রদর্শনের জন্য ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। আমরা তা সংশোধন করে আবার সেন্সরের জন্য আবেদন করছি। এমন অবস্থায় কিছু গণমাধ্যম পরীমনিকে ঘিরে অশ্লীলতার খবর প্রচার করছে যা আমাদের ‘নগর মাস্তান’ ছবির জন্য ভালো হচ্ছে না। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যেহেতু আমাদের ছবির কিছু বিষয় ঠিক করে আবার জমা দিতে হচ্ছে, তাই আমরা সে কাজগুলো নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। যারা আমাদের ছবির অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
গত ৫ ফেব্রুয়ারি সেন্সরের জন্য ছবিটি বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি ছবিটি সেন্সর বোর্ডের সম্মানিত সদস্যরা পরীক্ষার পর জনসাধারণের জন্য প্রদর্শনের অযোগ্য ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের হয়ে সচিব মো. নিজামুল কবীর এক লিখিত বিবরণীতে চারটি বিষয়ের উল্লেখ করে ‘নগর মাস্তান’ ছবির প্রযোজক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বরাবর একটি লিখিত চিঠি দেন । এতে উল্লেখ করা হয় : প্রথমত, অপর্যাপ্ত কাহিনীবিন্যাসে নির্মিত চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হলে চলচ্চিত্র সম্পর্কে দর্শকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় সিনেমার গানের সুর নকল করে এ চলচ্চিত্রের সুর করা হয়েছে। তৃতীয়ত, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি, চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করতে পারে। এবং চতুর্থত, দর্শকদের জন্য ক্ষতিকর হবে এমন প্রবল আইনহীনতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেন্সর বোর্ডের সম্মানিত সদস্যরা ‘নগর মাস্তান’ নামক ডিজিটাল চলচ্চিত্রটি জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
চিঠিটি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রযোজকের হাতে আসে। এতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, পত্রপ্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে সরকার বরাবর আপিল আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রযোজক বলেন, ‘সেন্সর বোর্ড যে সমস্যাগুলো উল্লেখ করেছে আমরা সে সমস্যার সমাধান করে এই ৩০ দিনের মধ্যে আবারও প্রদর্শনের অনুমতি চাইব। আর পরীমনি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নায়িকা, তাঁকে ছোট করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চলচ্চিত্রের ক্ষতি করছেন।’