হ্যাপির মামলা চালাতে চান না আইনজীবী
ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা মামলা পরিচালনা করতে অপারগতা জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজামান তুহিন হাওলাদার। মামলাটি এখন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে তুহিন হাওলাদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে মামলা পরিচালনা থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করার পর নথি হাতে পেলে এ মামলা থেকে অব্যাহতি পাব।’
আইনজীবী হাওলাদার আরো বলেন, ‘হ্যাপি ইচ্ছা করলে অন্য কোনো আইনজীবীকে দিয়ে মামলাটি পরিচালনা করতে পারবেন। এটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
হ্যাপি মামলাটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী হাওলাদার বলেন, ‘ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি এখন ইচ্ছা করলেও হ্যাপি প্রত্যাহার করতে পারবেন না। কেননা, এতে রাষ্ট্রপক্ষ বাদী হয়ে গেছে। তবে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর হ্যাপি ইচ্ছা করলে নিজেকে মামলা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে পারবেন। এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনে রুবেল হোসেন নির্দোষ প্রমাণিত হলে মামলা বাতিল হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে অভিনেত্রী হ্যাপির বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের ১ ডিসেম্বর হ্যাপির সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন রুবেল। এ সময় হ্যাপি তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে এড়িয়ে যান রুবেল। এ ঘটনার পর ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে (মামলা নম্বর ৩৭) নাজনীন আক্তার হ্যাপি বাদী হয়ে রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর পর ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন নেন রুবেল।
পরে গত ৮ জানুয়ারি এ মামলায় রুবেল হোসেন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুই দিন কারাগারে থাকার পর পুনরায় জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাঁকে জামিন দেন। পরে ১৫ জানুয়ারি রুবেল মামলার হাজিরা থেকে অব্যাহতি ও বিদেশে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আবেদন করেন। আদালত দুটি আবেদন মঞ্জুর করে মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।